যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থামছেই না বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থামছেই না বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের সমর্থনে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবার আটলান্টার এমরি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভ দমনে রাসায়নকি গ্যাস প্রয়োগ করে পুলশি। এছাড়া বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে বিক্ষোভোর মুখে লস এঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব সাউর্দান ক্যালিফোর্নিয়ার শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
এর আগে ম্যাসাচুসটেস অঙ্গরাজ্যে এমারসন কলেজ থেকে ১০৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীসহ কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলী হামলার শিকার ফিলিস্তিনীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু ইসরায়েলপন্থী সমর্থকসহ অন্যরা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এতে এন্টি সেমেটিক নানা ঘটনা বেড়ে যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাসগুলোতে ভীতিপ্রদর্শন ও ঘৃণামূলক বক্তব্যকে উৎসাহিত করছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
এ প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ক্যাম্পাসে বাক স্বাধীনতা, বিতর্ক ও বৈষম্যহীনতাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু যখন আমরা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের কথা বলি, যখন সহিংসতার কথা বলি তখন আমাদের এটাকে বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ২শ’রও বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে বিশেষ করে তরুণ আমেরিকানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কলম্বিয়া, ইয়েল, টেক্সাসসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।
No comments: