Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজে সংযোগ সড়কের অভাবে ভোগান্তি গাংনীর বেতবাড়ীয়া - মধুগাড়ি গ্রামের মানুষের




মেহেরপুরের গাংনীতে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ কোনই কাজে আসছে না। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া জেলার সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদীর উপর দিয়ে ব্রীজ নির্মাণ শেষ হয়েছে ২ বছর আগে। তবে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তিতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া ও দৌলতপুরের মধুগাড়ি গ্রাম সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর উপর প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করেছে কফিল এন্ড কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ১০১০০ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার নির্মিত ব্রিজটির কাজ শেষ হলেও এখনো সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। বেতবাড়ীয়া গ্রামের গাড়ি চালক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি গাড়ি নিয়ে দুই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরু নিয়ে বিভিন্ন হাটে যায়। সংযোগ সড়ক না থাকায় অনেক কষ্টে গরু আনতে হয় দৌলতপুর উপজেলা থেকে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কি.মি ঘুরে গরু আনতে হয় স্থানীয় বামন্দী হাটে। ব্রিজটির পাশে রাস্তা হলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে। মধুগাড়ি গ্রামের সবজি বিক্রেতা সুজন দাস বলেন, গ্রামে গ্রামে সবজি কেনার পর সেগুলো মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গায় বিক্রি করতে যায়। সংযোগ সড়ক না থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে নাটনাপাড়া ও গরুড়া গ্রাম ঘুরে সবজি বিক্রি করতে যেতে হয়। এর ফলে সবজি বহনকারিদের বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। সংযোগ সড়ক হলে আমাদের আয় আরো বেড়ে যাবে। স্থানীয় কৃষক নয়ন কুমার বলেন, আমরা প্রায় প্রতিদিন ৫-৬ বার মাঠে আসি এই ব্রিজ দিয়ে । ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকাই আমরা ঠিকমত ফসল বহন করতে পারছি না। এর ফলে শ্রমিকদের বাড়তি টাকা দিয়ে ফসল কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে। ব্রিজটির সংযোগ সড়ক হলে আমাদের অনেক উপকার হবে। দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি আলাবুল ইসলাম বলেন, ব্রিজ নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় আমাদের কোন কাজে আসছেনা। ব্রিজটির সংযোগ সড়ক হলে, ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক এগিয়ে যাবে এ এলাকার মানুষ। গাংনীর কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের সময় সংযোগ সড়কের জন্য এলাকার অনেকেই জমি দিতে চেয়েছিলেন। ব্রিজ নির্মাণের দুই বছর পার হলেও এখন কেউ জমি দিতে না চাওয়াই সংযোগ সড়ক হচ্ছে না। ব্রিজের সংযোগ সড়ক হলে প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়ে ২০-৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করবে। সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তি নিয়ে ৫-১০ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে মানুষকে। ব্রিজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কফিল অ্যান্ড কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ এর ঠিকাদার জান মহাম্মদ মিন্টু বলেন,ব্রিজটি নির্মাণের সময় অনেকেই সংযোগ সড়কের জন্য জমি দিতে চেয়েছিলেন। ব্রিজ নির্মাণের পর এখন সকলেই জমি দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এ কারণেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়ক নির্মাণের আশ্বাসও পেয়েছি। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন জানান, কাজের শুরুতে জমির মালিকেরা রাস্তার জন্য জমি দিতে চেয়েছিলেন। জমির মূল্য বেশি হওয়ায় তারা এখন জমি দিতে রাজি হচ্ছে না। পিডি মহোদয়ের অনুমোদন নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ এর জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছি। ভূমি অধিগ্রহণ হয়ে গেলেই অচীরেই সড়কের কাজ শুরু করা হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply