Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » চলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে মেহেরপুরে খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ




চলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে মেহেরপুরে খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ চলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুরের জনপদ। এমন অবস্থায় খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ। সেচ দিতে দিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের জমি। একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আবার মাটি শুকনা থাকায় দ্রুত শুষে নিচ্ছে পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পুরক সেচ দিয়ে বোরো ধান টিকিয়ে রাখার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তবে এতে চাষ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দিগুন থেকে তিনগুণ।

কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রুপ নিয়েছে। এমন এক সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে শ্যালো ম্যাশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় এক লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোন কোন জমিতে প্রতিদিন দুই লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছে চাষীরা। সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের চাষী আলামিন জানান, খরাতে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমন। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছেনা। যে জমিতে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিয়েই চলতো সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এবার দীর্ঘদিন খরার চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকামাকড় দমনে কীটানাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply