গাজায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে: ইইউ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। উত্তর গাজা এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে বলে মন্তব্য করেছে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা। ছবি: সংগৃহীত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বক্তব্য দেন। খবর বিবিসির। এছাড়াও অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণসহায়তার অভাবকে ‘মানবসৃষ্ট’ বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন জোসেফ বোরেল। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে জোসেফ বোরেল আরও বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এ অঞ্চলে মানবিক সংকটও দেখা দিয়েছে। আরও পড়ুন: খাবারের অভাবে ইফতার করতে পারেননি গাজার ২০০০ চিকিৎসাকর্মী বোরেল বলেন, গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা দরকার। এ জন্য যতটা সম্ভব কাজ করে যাচ্ছে ইইউ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজাবাসীর জন্য অতি প্রয়োজনীয় ২০০ টনেরও বেশি খাবার নিয়ে স্পেনের একটি জাহাজ এরই মধ্যে সাইপ্রাস থেকে রওনা দিয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানসহ অনেক দেশ উড়োজাহাজ থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলেছে। এছাড়াও সমুদ্রপথেও সেখানে ত্রাণ যাচ্ছে এখন। আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশসহ ৯ দেশ অন্যদিকে, পবিত্র রোজার মাস উপলক্ষে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশ। মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে এ ত্রাণ পাঠানো হয়। সোমবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এ চালানটি বৃহত্তম। তারা গাজার উদ্দেশে ২০০ টন খাদ্য ও মেডিকেল সরঞ্জামবাহী ১০০টি ট্রাক পাঠিয়েছে।