মুক্তিযুদ্ধে হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী টেপুখালী বধ্যভূমি মহান মুক্তিযুদ্ধে মেহেরপুরবাসীর অবদানের সাক্ষী সাহারবাটী টেপুখালী বধ্যভূমি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নিহতদের টেপুখালী বধ্যভূমিতে দেওয়া হয়েছিল গণকবর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সবুজের বুকে এ স্থানটি এক সময় অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকলেও বর্তমানে ৮ শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য স্থানটিতে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ। মুক্তিযুদ্ধের ইসিহাস ও স্থানটিতে সমাধিত ৮ শহিদদের করুণ কাহিনী জানতে এখানে বিশেষ দিনে দর্শনার্থীরা ভিড় জমায়। মেহেরপুর জেলা শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে সাহারবাটী গ্রামের টেপুখালী মাঠে বধ্যভূমির অবস্থান। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর জেলার
ভাটপাড়া নীলকুঠিতে অবস্থিত পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নিরীহ ৮ গ্রামবাসীকে ধরে এনে পার্শ্ববর্তী সাহারবাটী টেপুখালী মাঠে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে। তখন কবর দিতেও সাহস পায়নি কেউ। পাকসেনাদের হাতে নিহতরা হলেন জেলার গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মজিবর রহমান, আফসার মালিথা, জবতুল্লাহ, শাকের আলী এবং হিন্দা গ্রামের আজিজুল হক, বাবর আলী, মনসুর আলী ও নুর বকস। হত্যার এক সপ্তাহ পর লাশের গন্ধে এলাকার মানুষের চলাচলের অসুবিধা হলে, পাকিস্তানি সেনাদের অনুমতিক্রমে সাহারবাটী গ্রামের গোলাম হোসেন ও ইদ্রিস আলীর জমিতে ৮টি লাশ পাশাপাশি দু’টি কবরে দাফন করা হয়। স্বাধীনতার পরে নিহতদের স্বজনরা প্রথমত ইটের তৈরি প্রাচীর দেয় একটি কবরে। অন্যটি থাকে অরক্ষিত। জমির মালিক পরবর্তীতে শুধু কবরের জায়গাটুকু রেখে বাকি অংশের প্রাচীর ভেঙে চাষাবাদ শুরু করেন। নিহতদের স্বজনরা শহিদদের প্রতি সম্মান রেখে জমির মালিকের কাছ থেকে জমি না কেনায় জমির মালিক ধীরে ধীরে গণকবর দুটি গ্রাস করে। পরবর্তীতে সরকারিভাবে ওই জমি ক্রয় করা হয়। সেই সঙ্গে কবর সুরক্ষিত করার জন্য সেখানে শহিদদের স্মৃতি চিহ্ন ধরে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ইতিহাস পৌঁছে দিতে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ। সাহারবাটী গ্রামের সবুজ হোসেন ও আমিরুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, মাঠে কাজ করতে এলে প্রায়ই ওই শহিদদের নিয়ে কথা ওঠে। যাদের আত্মত্যাগে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, তাদের স্মৃতি চিহ্ন ধরে রাখার জন্য স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এটা নতুন প্রজন্মের জন্য খুবই দরকার ছিল। স্থানীয় সাহারবাটী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান, প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও শহিদ দিবসে ওই গণকবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এখানে একটি মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করলে নতুন প্রজন্মরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরো জানতে পারবে। গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক জানান, এক সময় টেপুখালীর মাঠে আট শহিদদের স্মৃতি চিহ্ন হারাতে বসেছিল। বর্তমানে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানটিতে আরো উন্নয়নমূলক কাজ করার চেষ্টা চলছে।Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
Featured
»
Zilla News
» মুক্তিযুদ্ধে হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী গাংনী উপজেলার সাহারবাটী গ্রামের টেপুখালী মাঠে বধ্যভূমির
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: