Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে অপরূপ ভাঁট ফুলং গাংনী গোপালনগর কইকুড়ির বিলের দু’ধারে ভাঁট ফুলের সমারোহ




মেহেরপুর জেলার ৩ উপজেলার বিভিন্ন মেঠোপথের দু’ধারে অযত্নে ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত দীর্ঘজীবী বুনো পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ ভাঁট ফুল । প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সাদা ভাঁট ফুলের সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যায় পথচারীদের। গ্রাম বাংলার চিরচেনা এ ফুলটি হরহামেশা দেখা গেলেও সাদা ভাঁট ফুলের দিকে তাকালে অনেকের মনে আলাদা একটা অনুভূতি জাগে। অঞ্চলভেদে এ গাছের ফুল ভাইটা ফুল, ঘেটু ফুল, বনজুঁই ফুল, হলেও মেহেরপুরে ভাঁট ফুল নামে এটি পরিচিত। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ ফুল ফোঁটে। এ ফুল ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ফুটতে দেখা যায়। বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে ভাঁট ফুলের ঝোঁপ চোখে পড়ে। ভাঁট গাছের প্রধান কান্ড সোজাভাবে দন্ডায়মান। সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয় এ ফুলের গাছ। এ গাছের পাতা দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদন্ডে ফুল ফোঁটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশ্রণ আছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোঁটে। এ ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এ ফুল। ফুল ফোঁটার পর মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে। জেলার গা

উপজেলার হাড়িয়াদহ-গোপালনগর রাস্তার পাশে কইকুড়ির বিলের দু’ধারে ভাঁট ফুলের সমারোহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে। এছাড়া হাড়িয়াদহ গ্রামের ভিটের মাঠের রাস্তার দু'পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভাঁট ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। সড়কে চলাচলকারী লোকজন এবং ঘুরতে বা বেড়ানো দর্শনার্থীরাও তা দেখে মুগ্ধ হন। স্থানীয় সমাজ সেবক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম বলেন,ভাঁট ফুল পড়ন্ত বিকেলে দেখলে,মনটা জুড়িয়ে যায়। তাই,এ ফুলের প্রতি যত্ন নেয়া দরকার। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আশরাফুল আলম বলেনভাঁট শুধু সৌন্দর্য গুণে নয়,মানব দেহের জন্য এ গাছের অনেক ওষুধি গুণাগুণ আছে। বিশেষ করে চর্ম রোগীদের জন্য নিয়মিত এ ভাঁট ফুলের রস করে দিনে দুই বার ক্ষত স্থানে মালিশ করলে যে কোনো চর্ম রোগ দ্রুত সেরে যাবে। অনেক সময় বিষাক্ত পোকামাকড় কামড় দিলে এ ভাট ফুলের রস করে ক্ষত স্থানে মালিশ করলে ফোলা ও ব্যথা দ্রুত কমে যায়। ভাঁটের পাতার রস কৃমি প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী। মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, ভাঁটফুল দেশি বুনো পুষ্পক উদ্ভিদ। এটি বুনো ফুল, গাঁয়ের মাঠে কিংবা রাস্তার ধারে অযত্নে ফুটে থাকে এ ফুল। ফুল গাছটি ভাঁট বলে পরিচিত হলেও স্থানভেদে এবং ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীতে এর ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে। অনেকে একে বনজুঁইও বলেন। এ গাছের ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply