Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হয়েছেন মতিন




উচ্চমূল্যের নতুন জাতের আঁশ জাতীয় বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হয়েছেন মেহেরপুরের আব্দুল মতিন। এনজিওর চাকরি ছেড়ে নতুন জাতের সবজি স্কোয়াশ চাষ করে নিজের ভাগ্য বদলিয়েছেন আব্দুল মতিন। এখন তিনি সফল সবজি চাষি নামে পরিচিত এলাকায়। স্কোয়াশ বিদেশি সবজি। স্কোয়াশ মূলত একটি শীতকালীন সবজি। এটা দেখতে অনেকটা বাঙ্গি ফলের মতো। এটি মিষ্টি কুমড়ার স্বাদে পুষ্টিকর একটি সবজি। সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াশ নতুন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ও দামও আশাব্যঞ্জক।

জানা গেছে, স্কোয়াশ চাষি আব্দুল মতিন জেলার মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মোতালেবের ছেলে। তিনি একটি এনজিওর ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। চাকরি করে তার কোনো রকম সংসার চলতো। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন পেশা পাল্টানোর। এক পর্যায়ে নিজের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল উৎপাদন করে ভাগ্যবদলের নেশায় ডুবে যান তিনি। নতুন নতুন সবজি চাষে মনোনিবেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউটিউবে স্কোয়াশ চাষের ওপর প্রতিবেদন দেখে, স্কোয়াশ চাষে উদ্বুদ্ধ হউন তিনি। পরে ঢাকা থেকে স্কোয়াশের বীজ সংগ্রহ করে এক বিঘা জমিতে স্কোয়াশের চারা রোপণ করেন। মাস দেড়েক পরেই গাছে দুই-তিনটি করে স্কোয়াশ ফল ধরতে শুরু করে। বর্তমানে সবুজ, হলুদ ও সাদা রংয়ের স্কোয়াশ ধরে আছে গাছগুলোতে। স্কোয়াশ বিক্রি উপযোগী হতেই তা বিক্রি শুরু করেন তিনি। বর্তমানে বাজারে স্কোয়াশ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। স্কোয়াশ চাষি আব্দুল মতিন বলেন, একটি এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতাম। চাকরি ছেড়ে মনোনিবেশ করি বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষে। মাথায় আসে নতুন কি ফসল করা হয়। তারপর ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে ঢাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করে এ বছর ১ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছি। ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৪২ শত গাছ আছে। আমার ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ টাকার স্কোয়াশ জমি থেকে বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমানে জমিতে যা ফসল আছে আরো ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রির সম্ভাবনা আছে। আমাকে দেখে অনেক কৃষকও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আগামীতে স্কোয়াশ চাষের পরিধি আরো বৃদ্ধি করার আশা রয়েছে । সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আলমগীর হোসেন বলেন,স্কোয়াশ বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে। মেহেরপুর জেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় এ জেলায় বারো মাস বিভিন্ন শাকসবজি কৃষকেরা চাষ করে থাকেন। এ জেলার কৃষক স্মার্ট এবং আধুনিক। তারা নতুন নতুন ফসল এবং প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। তেমনি মেহেরপুরে এবছর স্কোয়াশ নামের একটি উচ্চমূল্যের সবজি চাষ হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলার একজন কৃষক উৎসাহী হয়ে স্কোয়াশ চাষ করেছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি স্কোয়াশ চাষ সামনে আরও সম্প্রসারিত হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply