একসময়ের খরস্রোতা কাজলা এখন মেহেরপুরের অভিশাপ একসময় প্রবল স্রোত নিয়ে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী কাজলা নদী এখন মেহেরপুরের অভিশাপে পরিণত হয়েছে। গাংনীর কাজলা এখন গবাদি পশুর চারণভূমি। এর কোথাও বা রবিশষ্য চাষ হয়। দীর্ঘদিন ড্রেজিং না করার পাশাপাশি দখল প্রতিযোগিতায় কাজলা হারিয়েছে নাব্য। ভরাট হওয়ায় বর্ষায়ও নদীর কোথাও পানি মেলে না। প্রভাবশালীদের দখল প্রতিযোগিতায় খরস্রোতা কাজলা এখন ছোট নালা।
মেহেরপুরের গাংনীর বড় নদী মাথাভাঙ্গা। কাজীপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা থেকে কাজলা নদীর উৎপত্তিস্থল ৩০ কিলোমিটার। উৎপত্তিস্থল থেকে এ নদী হিন্দা মাঠ, নওয়াপাড়া, ভাটপাড়া, গাড়াডোব এবং সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রাম হয়ে ভৈরব নদে মিশেছে। মাথাভাঙ্গা নদীটি গঙ্গার শাখা নদী ভারতের জলঙ্গীর সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে বর্ষায় পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকত কাজলা। প্রতিবছর উৎপাদিত হতো কোটি কোটি টাকার মাছ। সেই কাজলায় ভাটপাড়া অংশের দেড়-দুই কিলোমিটার পুনর্খননের কারণে সব সময় পানিতে থইথই করে। বাকি অংশে এই বর্ষায়ও কোথাও পানির দেখা মেলে না। পরিবেশবাদীদের মতে, জীববৈচিত্র্যের প্রয়োজনে এ নদীর খনন জরুরি হয়ে পড়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে কাজলা নদীর ব্রিজের দক্ষিণাংশে নদীর তলদেশে চরে বেড়াচ্ছে গবাদি পশু। উত্তরাংশে দুইশ গজের মতো তলদেশে হাঁটুসমান পানি। নদীপারের রহমত আলী বলেন, কাজলার বুকে একসময় বড় বড় নৌকা পাটবোঝাই করে কলকাতার মোকামে বাজারজাত করা হতো। তখন যোগাযোগমাধ্যমই ছিল এই নদীপথ। গাড়াডোব অংশে দেখা যায়, নদীর দুই পাড় কেটে সমতল করেছে প্রভাবশালী দখলদাররা। নদীর তলদেশে রবিশষ্যও চাষ হয়। ওই গ্রামের আজিজুল হক মাস্টার বলেন, ‘কাজলা হয়েই কলকাতার সঙ্গে পানিপথে যোগাযোগ হতো। ইংরেজ বণিকরা এই নদী দিয়ে এ দেশে যাতায়াত করতেন। কাজলা নদীর তীরেই ভাটপাড়া নীল কুঠি প্রতিষ্ঠিত হয়। একসময় এই নদীর পানি সেচে ব্যবহৃত হয়েছে। দেশীয় মাছ পাওয়া যেত প্রচুর পরিমাণ। কিন্তু এসব আজ শুধুই ইতিহাস, মেহেরপুরের ইতিহাসের বইয়ের বিষয়।’ কাজলার এমন দুর্দশায়ও আশার আলো দেখাচ্ছে ভাটপাড়া ইকোপার্ক। গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠিতে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠার সময় পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে নদীর দেড় কিলোমিটার অংশ পুনর্খনন করা হয়। ফলে ওই অংশে এখন সারা বছরই পানি থাকে। পুনর্খনন করা অংশে ছোট ছোট নৌকায় চলাচল করেন দর্শনার্থীরা। এমনভাবে নদীর বাকি অংশও পুনর্খনন করা গেলে স্থানীয় কৃষি ও মৎস্যজীবীদের জন্য এই নদী ফের আশীর্বাদে রূপান্তরিত হবে বলে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আশা করছেন। গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টু বলেন, ‘পুনর্খনন না হওয়ায় নদীটি মৃতপ্রায়। নদীর প্রাণ ফেরাতে এলাকার মানুষের আশীর্বাদে পরিণত করতে পুনর্খনন জরুরি। স্থানীয় প্রভাবশালীরা দুপাড় দখল করে চাষাবাদ করায় নদীটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। অতিসত্বর পুনর্খনন করে দখলদারদের উচ্ছেদ করা না গেলে নদীটি বিলীন হয়ে যাবে। মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ-সদস্য মোহাম্মদ শাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, ‘জাতীয় সংসদে কাজলা নদীর খনন কাজের জন্য একটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করা যায়, নদীটি পুনর্খননে অতিসত্বর দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে খনন শুরু হবে।Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: