Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » সরিষাতে বাম্পার ফলনের সপ্ন দেখছেন মেহেরপুর জেলার চাষিরা




সরিষাতে বাম্পার ফলনের সপ্ন দেখছেন মেহেরপুর জেলার চাষিরা মেহেরপুর: গত ১০ বছর সরিষা চাষ থেকে আগ্রহ উঠে গিয়েছিলো চাষিদের, আমরা আবার এবছরে পড়ে থাকা ধানি জমিতে সরিষা করেছি। এতে একদিকে বাড়ির তেলের চাহিদা মিটবে অন্যদিকে বাজারজাতও করতে পারবো। তাতে করে আমরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবো। এমনটাই বলছিলেন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সরিষা চাষি মিলন হোসেন। চলতি মৌসুমে ব্যাপক সরিষার চাষ হয়েছে। যেদিকে তাকাই মাঠ জুড়ে সরিষা আর সরিষা। আমন ধান কেটেই ধানি জমিতে কেউ বাণিজ্যিকভাবে আবার কেউ বাড়িতে খাওয়ার জন্য সরিষা চাষ করেছিলেন। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ সরিষা ক্ষেতে পরিপক্ব হয়ে পাকতে শুরু করেছে তবে যারা আগাম ভাবে সরিষা চাষ করেছিলেন তারা অনেকেই সরিষা উত্তোলন করে মাড়াই করছেন। এবছরে সরিষাতে বাম্পার ফলনের সপ্ন দেখছেন মেহেরপুর জেলার চাষিরা।

লাভের আশায় তাদের মুখে এখন হাসি। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে মাঠে সরিষার আবাদ দেখা গেছে। মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। আমন ফসল ঘরে তোলার পর স্বল্প সময়ে সরিষা একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা করেছেন। এতে চাষিদের একদিকে তেলের চাহিদা মিটবে অন্যদিকে আর্থিক ভাবে লাভবানও হবেন এ জেলার চাষিরা। মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবছরে জেলায় ১৬৮০০ জনকে কৃষি প্রণোদনা দিয়েছি। এবছরে সরিষার চাষের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে ৬৯৭৩ হেক্টর। লক্ষমাত্র ছাড়িয়ে প্রায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ বেশি হয়েছে। সারিষা চাষি দুলাল জানান, বছরে দুইবার ধান করার পড়ে জমি পড়ে থাকে। এই যে সরিষার নতুন নতুন জাত আসছে সল্প সময়ে হয়ে যাচ্ছে। এই সরিষা আমরা ধানের ভিতরে বুনে দিয়েছি তাতে ধানিতে জমিতে খুব সুন্দর সরিষা হচ্ছে। বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মন সরিষা উৎপাদন হচ্ছে। আবার একই বছরে তিনটা ফসল হচ্ছে তাতে আমাদের বছরে যে তেল লাগছে তা আর কেনা লাগছেনা। তেল কেনার খরচটাও কমে যাচ্ছে বাকিটা আমরা বাজার জাত করতে পারছি। দুলালের মতো অনেকেই সরিষার চাষ করেছেন। তারাও একই কথা বলছেন। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বিজয়কৃষ্ণ হালদার জানান, জেলায় এবছরে ধান, ভুট্ট, গমসহ সরিষার আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে বেশি আবাদ হয়েছে সরিষার। আমরা কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা, কৃষক প্রশিক্ষণ, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্ধুদ্ধ করি। আগামীতে আরো সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদেরকে সকল ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply