মেহেরপুরে ভাইরালের পর সূর্যমুখী খেতে ছবি তোলার ভিড়
চতুর্থবারের মতো বীজের জন্য সূর্যমুখী চাষ করে এবারও বিপাকে পড়েছে মেহেরপুরের আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামার। সেখানে বীজ উৎপাদনে ২১ বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখীর। ফুলে ভরে গেছে খেত। সূর্যমুখী এ খেতে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার দর্শনার্থী ভিড় করছে তাদের ছবি তুলতে। এদের মধ্যে প্রেমিক-প্রেমিকার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। সরকারি কর্মকর্তারাও পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন। ওই খেতের ভিডিও তৈরির জন্য ভিড় জমাচ্ছেন টিকটকাররা। এতে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন খামার কর্তৃপক্ষ। কেউ যেন ফুল না ছেড়ে সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত লোকবলও নিয়োগ করতে হয়েছে তাদের। এখন বীজ খামারে তুলতে পারবে কি না এই নিয়ে শঙ্কিত তারা। কারণ ফুলেই পাওয়া যায় বীজ। আর সেই ফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত দর্শনার্থীরা। সরেজমিন জানা যায়, খামারে চাষ করা সূর্যমুখী ফুলের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে গত দুই সপ্তাহ থেকে সেখানে বাড়ছে মানুষের ভিড়। ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূর থেকেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।
গাংনীর বামুন্দি থেকে আসা নিলিমা বলেন, গ্রামের অনেকের কাছে ছবি দেখে এখানে এসেছি। কারণ মেহেরপুরে এমন পরিবেশ কোথাও নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদরের আসমানখালী গ্রাম থেকে আসা পারুল ও তার বন্ধু হামিদ জানান, মাঠজুড়ে এমন সূর্যমুখী ফুল কখনো দেখিনি।
খামারের কেয়ারটেকার আমিরুল ইসলাম জানান, কাউকে আটকানো যাচ্ছে না। খামারের মূল ফটকে তালা দেওয়ার পর প্রাচীর টপকে মানুষ ভেতরে ঢুকছে। বাধ্য হয়ে গেট খুলে দিতে হচ্ছে। সূর্যমুখী গাছের সঙ্গে ছবি তুলতে অনেকেই খেতের মাঝখানে চলে আসছে। তাতে অনেক গাছ ভেঙে পড়ছে।
খামারের উপপরিচালক আবু তাহের সরদার জানান, সূর্যমুখীর বীজ শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় বরং বিদেশেও এই বীজ রপ্তানি হয়। সূর্যমুখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণের জন্য এই চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিনোদনের জায়গা কম থাকায় এই বাগানটিতে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে দর্শনার্থীদের। সাত একর জমিতে অন্তত কোটি টাকার বীজ উৎপাদন হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
Tag: others Zilla News
No comments: