Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মিয়ানমার তরুণদের সেনাবাহিনীতে ঢুকতে বাধ্য করছে জান্তা সরকার!




মিয়ানমার তরুণদের সেনাবাহিনীতে ঢুকতে বাধ্য করছে জান্তা সরকার! মিয়ানমারে তরুণদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধরে ধরে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করছে জান্তা সরকার। কথা না শুনলে তাদের ঠিকানা হচ্ছে জেলে। বিশেষ করে রাতের বেলা একা পেলেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা তরুণদের আটকাচ্ছে; জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এরপর তাদের আর নিস্তার নেই। হয় সেনাবাহিনীতে যোগ দাও, নয়তো জেলে যাও। তরুণদের সেনাবাহিনীতে ঢুকতে বাধ্য করছে জান্তা সরকার। ছবি: সংগৃহীত

এমনই এক তরুণ - কো ওয়াই ফিও। গেলো অক্টোবরের ২৭ তারিখে মন স্টেটের রাজধানী মাওলামিয়ানে রাতের বেলা ট্রাকে করে আসা সেনাসদস্যরা তার মোটরবাইক আটকায়। ফুটবল ম্যাচ শেষ করে একটি চায়ের দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলেন ১৯ বছরের এ তরুণ। কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই সেনাসদস্যরা বাইকসহ তাকে ট্রাকের ওপর তুলে নেন। ভাগ্যক্রমে ঘটনাটি দেখে ফেলেন ওয়াইয়ের প্রতিবেশি ইউ সোয়ে। তিনি দৌড়ে বাসায় গিয়ে ওয়াইয়ের বাবা-মাকে খবরটা দেন। এরপর ওই এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজন পুলিশ স্টেশনে ওয়াইকে খুঁজতে যান। সংবাদমাধ্যম ফ্রন্টিয়ারকে জানান ইউ। কিন্তু পুলিশ স্টেশন থেকে তাদের জানানো হয়, অনেক রাত হয়ে গেছে; তাদের সকালে আসতে হবে। তারা বলেন, ‘আমরা সকাল সাতটায় পুলিশ স্টেশনে গেলাম। কিন্তু ওয়াই ফিও সেখানে ছিলেন না। অফিসাররা জানাল, তারা তাকে আটক করেননি। তবে তিনি সামরিক কম্পাউন্ডে থাকতে পারেন। ‘অফিসাররা আরও বললেন যে, বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখবেন। আমাদেরকে বাসায় ফিরে আসতে বললেন।’ তরুণদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে অথবা জেল খাটতে হবে। সেনাসদস্যদের এমনটাই বক্তব্য। ছবি:সংগৃহীত আরও পড়ুন:মিয়ানমার / বিদ্রোহীদের সামনে ‘অসহায়’ বিলিয়ন ডলারের সেনাবাহিনী বিকেলে পুলিশ ওয়াই-এর বাবা-মাকে ফোন করে বলল, শহরের বাইরে একটি মিলিটারি রিক্রুটমেন্ট অফিসে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। যদিও বিষয়টি জটিল, তারপরও তারা আলোচনা করছে কী করা যায়! তারা বলেন, ‘পুলিশ আমাদের আরও জানাল যে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে এবং তারা একটা উপায় বের করার চেষ্টা করছে। পরে আবার পুলিশ জানাল যে, তাদেরকে কিছু টাকা দিতে হবে। না হলে ওয়াইকে বের করা যাবে না। তারা ৩.০ মিলিয়ন কায়েত দাবি করে বলেও জানালেন।’ আরও পড়ুন:মিয়ানমারের জান্তাই কেন বিশ্বের ‘সবচেয়ে খারাপ’ সরকার আটককৃতরা বাসায় যেতে চাইলে তাদের মারধর করত সেনাসদস্যরা। ছবি:সংগৃহীত ওয়াইয়ের প্রতিবেশি ও ওয়ার্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জানতেন কীভাবে বিষয়টি ডিল করতে হবে। তিনি ওয়াইয়ের বাবা-মাকে টাকা দিতে বললেন। অবশেষে টাকার বিনিময়ে ওয়াই মুক্তি পেলেন। ওয়াই ফিয়ের ভাগ্য ভালো ছিল যে তাকে মুক্ত করা গেছে। কিন্তু তাকে যখন আটকে রাখা হয়েছিল তখন প্রায় তাকে মারধর করতেন অফিসাররা। তাকে বলা হয়েছিল - হয় তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে। কিন্তু সেখানে আরও অনেকে আছে ওয়াইয়ের মত। যারা দিনের পর দিন মার খাচ্ছেন। সূত্র: ফ্রন্টিয়ার






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply