ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব থেকেই কি রাজনৈতিক সংকটে মালদ্বীপ?
শুরু থেকেই চীনপন্থি হিসেবে পরিচিতি রয়েছে মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর। তবে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মালদ্বীপের এক মন্ত্রীর উপহাসের জেরে ভারতের সঙ্গে এখন দেশটির তীব্র কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর বিরোধীদের অবস্থান আবার ভারতের পক্ষে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়ে উঠেছে মালদ্বীপে।
সম্প্রতি সংসদ সদস্যদের নজিরবিহীন মারামারির ঘটনা ঘটেছে মালদ্বীপে। এর মধ্যেই হাতুড়িপেটার শিকার হয়েছেন সরকারের প্রধান কৌঁসুলি হোসেন শামীম। পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে এই হামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এমডিপি ও ক্ষমতাসীন পিপিএম-পিএনসি জোট।
রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও।
হঠাৎ করে মালদ্বীপের রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে নতুন সরকারের মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদন নিয়ে। বিরোধীদের চাপের মুখে সম্প্রতি দেশটির সংসদ, ক্ষমতাসীন দলের ২২ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১৯ জনকে অনুমোদন দেয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ বয়কট, শীর্ষস্থান থেকে পাঁচে নামল ভারত
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে অভিশংসনের মুখোমুখি করার পরিকল্পনা বিরোধী জোটের। এতকিছুর পরেও প্রত্যাখ্যাত তিন মন্ত্রীকে পুনরায় নিয়োগ দেন মুইজ্জু। এ অবস্থায় ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কার্যত মুখোমুখি অবস্থানে সরকার ও বিরোধী দল।
মালদ্বীপের দুই বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত ও চীনের প্রভাব বিস্তারের মাঝেই, দেশটিতে আগামী ১৭ মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংসদীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন মুইজ্জু প্রশাসন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, বিরোধী দল এমডিপি মূলত ভারতপন্থি। আর নির্বাচনের ঠিক আগেই নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে মুইজ্জু প্রশাসনের। এই দ্বন্দ্বকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চায় বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মালদ্বীপ বয়কটের ডাক কি বিফলে গেল?
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মালদ্বীপের চালিকাশক্তি পর্যটন খাতে বড় প্রভাব ফেলেছে। এ বিষয়টিকে সামনে তুলে ধরে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে মুইজ্জু-বিরোধীরা।
No comments: