চার মাসে ২৭ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত আছে ইসারাইলি তাণ্ডব। প্রায় চার মাস ধরে চলা সংঘাতে অঞ্চলটিতে প্রাণহানি ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে এর মধ্যেই আবারও হামলা জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।
চলমান হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই হামলা জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। ছবি: সংগৃহীত
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে উপত্যকাটিতে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৯০ জন আহত হন। হতাহতের এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৯ জনে। আর গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৬৬ হাজার ১৩৯ জন।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের চার বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
তবে এমন পরিস্থিতিতেও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানান, লাখো মানুষের শেষ আশ্রয় সীমান্তবর্তী রাফা এবার তাদের স্থল অভিযানের পরবর্তী টার্গেট। যা আরও বিপুল প্রাণহানি ঘটাবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এদিকে, প্রাণহানি এড়াতে আবারও যুদ্ধবিরতির ইস্যুতে কাজ করছে কাতার। তাদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। ফলে শিগগিরই সাময়িক সংঘাত বন্ধের প্রত্যাশা মধ্যস্থতাকারীদের।
অন্যদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার অভিযোগে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী কয়েকজন ইসরাইলির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিম তীরে সহিংসতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে, এমনটাই আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পত্তি জব্দের ঘোষণা ওয়াশিংটনের।
আরও পড়ুন: মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দাবি হুতির
ইসরাইলি নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞাকে বিরল ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও এই পদক্ষেপের তোয়াক্কাই করছেন না ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন এই পদক্ষেপকে পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
Tag: English News politics world
No comments: