তৃতীয় সারির দলের বিপক্ষে কষ্টের জয়ে শেষ আটে বার্সা
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে শিরোপা খোয়ানের পর কোপা দেল রের শেষ ষোলোতেও হোঁচট খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। তৃতীয় সারির দল ইউনিয়নিস্তাস দে সালামানকার বিপক্ষে প্রথমে গোল হজম করে ৪৪ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে ছিল কাতালানরা।
দুই ডিফেন্ডারের নৈপুণ্যে জিতল বার্সেলোনা। ছবি: সংগৃহীত
তবে ফেরান তোরেস, জুলেস কুন্দে ও আলেহান্দ্রো বালদের কল্যাণে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইউনিয়নিস্তাসকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোপা দেল রের শেষ আটে জায়গা নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা।
সময়টা এমনিতেই ভালো যাচ্ছে না বার্সার। লা লিগায় শিরোপার দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে তারা। ৪১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তাদের অবস্থান চারে। শীর্ষে থাকা দলের তুলনায় ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে। তার ওপর গত ১৫ জানুয়ারি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে হেরে বছরের প্রথম শিরোপা জয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। শুধু হার বললে ভুল হবে। এল ক্লাসিকোর লড়াইয়ে একপেশে খেলেছে মাদ্রিদিস্তারা। জয়ের ব্যবধান ৪-১।
আরও পড়ুন: নেইমারের দলবদলে অনিয়ম, ফ্রান্সের অর্থ মন্ত্রণালয়ে তল্লাশি
হারের সে ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতে কোপা দেল রের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে তৃতীয় সারির দল ইউনিয়নিস্তাসের বিপক্ষে প্রথমেই গোল হজম। ম্যাচের ৩১ মিনিটে সেরানো ল্যাব্রেসের বাঁ প্রান্ত থেকে বাড়ানো ক্রস দারুণ ভলিতে জালে জড়ান আলভারো গোমেজ। প্রতিরোধের কোনো সুযোগই পাননি বার্সা গোলরক্ষক ইনাকি পেনা। পিছিয়ে পড়া কাতালানরা সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
অবষ্য শুরু থেকেই আক্রমণে কিংবা বল দখলে এগিয়ে ছিল জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। কিন্তু ইউনিয়নিস্তাসের মাঠ ক্যাম্পো দে ফুটবল রেইনা সোফিয়াতে তারা যেন গোলবারটাই খুঁজে পাচ্ছিল না। অনেক প্রচেষ্টার পর বিরতির ঠিক আগে দলকে সমতায় পেরান তোরেস। পাল্টা আক্রমণে উঠে জোয়াও ফেলিক্স বল বাড়িয়ে দেন তোরেসের উদ্দেশে। রক্ষণ ফাঁকা পেয়ে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল পায়ে তিনি দ্রুত ছুটে চলেন। ডি-বক্স লাইন থেকে আলতো ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান।
আরও পড়ুন: মেসি ‘দ্য বেস্ট’ জেতার যোগ্য ছিলেন না
কিছুটা স্বস্তিতে ফেরা বার্সা বিরতির পরও গোলের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যায়। অবশেষে ৬৯ মিনিটে কুন্দের হাত ধরে লিডের দেখা পায় তারা। পাউ কুবার্সির পাস দখলে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন এ ডিফেন্ডার। ডানে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক। এর ৪ মিনিট পর কুন্দের পাস দখলে নিয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন বালদে। কোনোকুনি উঁচু শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। তাতে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩-১।
এরপর আর গোলের দেখা পায়নি কেউ। যদিও শেষদিকে পেনার নৈপুণ্যে গোল হজম থেকে রক্ষা পায় বার্সা। পরপর প্রতিপক্ষের দুটি শট ফিরিয়ে দিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন তিনি।
No comments: