নতুন বছর নতুন সরকার, কীভাবে হবে মন্ত্রিসভা? দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নিয়মানুসারে, ভোটের পর গেজেটের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করার পর সরকার গঠন করা হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের মধ্যদিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ফাইল ছবি
নিয়ম বলছে, শেখ হাসিনা সংসদ নেতা হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন। এরপর মন্ত্রিসভা গঠন করবেন সংসদীয় দলের প্রধান শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নতুন সরকারের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে সংবিধান কী বলছে? সংবিধানের ৫৫(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী লইয়া এই মন্ত্রিসভা গঠিত হইবে।’ আর একই অনুচ্ছেদের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।’ আর সংবিধানের ৫৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী থাকিবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকিবেন।’ আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় ধারা দুইয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদিগকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করিবেন।’ এ ক্ষেত্রে শর্তও দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুসারে, ‘তাহাদের সংখ্যার অন্যূন নয়-দশমাংশ সংসদ-সদস্যগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন এবং অনধিক এক-দশমাংশ সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে মনোনীত হইতে পারিবেন।’ আর ধারা তিনে বলা হয়েছে, ‘যে সংসদ-সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হইবেন, রাষ্ট্রপতি তাঁহাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করিবেন।’ কবে গঠন হতে পারে মন্ত্রিসভা? সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখনও নির্বাচনের গেজেট হয়নি। হওয়ার পর সাংবিধানিক সব বিধিবিধান মেনেই মন্ত্রিসভা গঠিত হবে। এদিকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে। তবে বিরোধী দল কারা হবে; এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শপথের দিনই জানা যাবে আগামী সংসদের বিরোধী দল কারা হবে। আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে যা বললেন শেখ হাসিনা বিরোধী দল কে হবে আপনার কাছে কি মনে হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী যদি দেখা যায় তাহলে-তো লাঙ্গল মার্কা হবে। বাকি স্বতন্ত্ররা থাকবেন। তাদের পরিস্থিতি বোঝা যাবে সামনের রাজনীতি কোন দিকে যায়, তার ওপর।’ স্বতন্ত্ররা কি বিরোধী দল হিসেবে থাকবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে বিষয়েতো এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত শপথ না হচ্ছে।’ টানা ৩ সংসদে যেমন ছিল আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২৬৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এটিই ছিল সর্বশেষ নির্বাচন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, গঠন করেন ৩২ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এর ১৮ দিন পর মন্ত্রিসভায় আরও ৬ জন যোগ হন। এরও ২ বছর ১০ মাস পর আরও ২ জনকে মন্ত্রী করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। ১৫৩টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলো। ওই বছরের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। তখন অধিকাংশ পুরানো মন্ত্রী বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন ও আগের সরকারের সময় দলের বাদ পড়া সিনিয়র নেতাদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয়। আরও পড়ুন: কথা রাখেনি আওয়ামী লীগ: জিএম কাদের সেই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী ও ২ জন উপমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়। পরে মন্ত্রিসভার আকার আরও বাড়ানো হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তবে, এ নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোটসঙ্গীরা ২৮৮টি আসন পায়। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র ৭ টি। বাকি ৩ টি আসন পায় অন্যরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে ২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন। বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ১ টি করে আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমও কক্সবাজারের একটি আসন থেকে জয় তুলে নিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করেছে। পাশাপাশি একটি আসনের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে পরবর্তীতে ওই আসনে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে ইসি।Slider
দেশ - বিদেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: