ম
লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় তুলাচাষ অনেকাংশে বেড়েছে। মেহেরপুরের গাংনীতে উৎপাদন খরচ ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা তুলাচাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন।লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় তুলাচাষ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।এবছর তুলাচাষে লাভের আশা করছে কৃষকরা। গাংনী উপজেলার তুলা চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে এতোদঞ্চলে ৭টি ইউনিটের মধ্যে ধানখোলা,বেতবাড়ীয়া,কাজীপুর,বামন্দী,হাড়িয়াদহ,গাড়াডোব,মটমুড়া,তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিটের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের নিয়ে আইপিএম প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।এছাড়াও কমবেশী সব গ্রামেই তুলা চাষ হয়ে থাকে।তবে সবচেয়ে বেশী তুলাচাষ হয়েছে গাংনীর পার্শ্ববর্তী উপজেলা দৌলতপুরের প্রাগপর এরিয়ায়। ২য় পর্যায়ে রয়েছে উপজেলার ধানখোলা ইউনিটের অন্তর্গত ভাটপাড়া এলাকায়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তুলাচাষ লাভজনক বলে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।সরকারীভাবে মূল্য বৃদ্ধি করায় চাষীরা তুলা চায়ের দিকে ঝুকে পড়েছে।উৎপাদন খরচ বাদে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছে।তবে তুলাচাষের প্রথম পর্যায়ে প্রাকৃতিক বিপর্যায়ে কিছুটা ফলন কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিসিডিও আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনিআরওজানান,এবছর,গাঁড়াডোব,আযান,ধানখোলা,মহিষাখোলা,জালসুকা,শানঘাট,বামন্দী,মটমুড়া,রাজাপুর,তেঁতুলবাড়ীয়া,বেতবাড়ীয়াও কাজীপুরে তুলনামূলকভাবে তুলা চাষ বেশী হয়েছে। ২২ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাচাষ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এবার তুলার ফলন আশানুরুপ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তুলা ক্ষেতের অবস্থা ভাল।ইতোমধ্যেই আঁশ তুলা জমি থেকে তোলা শুরু হয়েছে এবং পারসেজ শুরু হয়েছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়া অঞ্চলের তূলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,গত বছরে মন প্রতি তুলার দাম ছিল ৩ হাজার ৬ শ’টাকা থেকে ৮ শ’ টাকা,এবছর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪ শ’ থেকে ৭ শ’ টাকা । মূল্য গতবারের তুলনায় কম হওয়ার খবরে তুলা চাষীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, তুলার দাম কম হলে আগামী বছরে তুলা চাষ অনেকেই ছেড়ে দিবে। এবার উপজেলায় তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ২শ হেক্টর।চাষ করা হয়েছে ২ হাজার হেক্টর জমিতে।তুলনামূলকভাবে আবাদ বেড়েছে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি জমিতে চাষ করা হয়েছে। তুলা চাষ টেকসই করতে এবং বাংলাদেশে তুলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন একটি বেসরকারী সংস্থা টিএমএসএস । তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সক্ষমতা ও লোকবল কম থাকায় টিএমএসএস তুলা চাষীদৈর সার্বক্ষনিক মনিটরিং করার কাজে ফিল্ড এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তুলা উন্নয়ন বোর্র্ডের সহযোগিতায় এবং টিএম্সএস এর বাস্তবায়নে কটন কান্ক্টে ও প্রাইমার্ক কোম্পানীর অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গাংনীতে টিএমএসএস এর আওতায় ১ জন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ও ১৪ জন ফিল্ড এক্সিকিউটিভ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,এবছর চাষীদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল হোয়াইট গোন্ড-১ , হোয়াইট গোল্ড-২,রূপালী-১ (হাইব্রিড) ও ডিএম-৪ (নিজস্ব), শুভ্র-৩, ইস্পাহানী, লালতীর জাতের বীজ প্রদান করা হয়েছে।চাষীদের ধারনা হচ্ছে, এবার শেষ পর্যায়ে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলেও বিঘাপ্রতি ১৩/১৫ মন হারে তুলা উৎপাদন হতে পারে।কোন কোন জমিতে ১৫ থেকে ১৭ মন হাওে তুলা উৎপাদন হতে পারে। চাষীদের দাবী, তুলার মূল্য মনপ্রতি ৪ হাজার টাকা করা হলে চাষীরা তাদের উৎপাদন খরচ বাদে লাভবান হবে।এরকম বাজার দর নির্ধারণ করা হলে আগামীতে কৃষকরা তুলা চাষের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াবে। সরেজমিনে গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের একজন সফল তুলা চাষী সাইদুর রহমান মেম্বর ও একই গ্রামের তুলা চাষী হাশেম আলী জানান,গত বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছিলাম জমি প্রস্তত,সার,সেচ,কীটনাশক পরিচর্যাসহ উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ভাল লাভ হয়েছিল।এবছর তারা যথাক্রমে ৯বিঘা ও ৫ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন।উৎপাদন খরচ বিঘাপ্রতি ২৫ হাজার টাকা বাদ দিয়ে তুলা বিক্রি করে বিঘা প্রতি ৬০ হাজার টাকা থাকবে। তারা আরও বলেন,আমার চাষ দেখে আমাদের গ্রামের রবিউল ইসলাম ও রেজাউল ইসলাম নতুন করে তুলা চাষ শুরু করেছেন।বেতবাড়ীয়া গ্রামের তুলা চাষী কামাল হোসেন, রানা ,হিমেল , মতিয়ার রহমান,আজিজুল ইসলাম,রফিকুল আলম,মনিরুল ইসলাম ও শফিউল ইসলাম একই কথা জানালেন। গাংনীর শানঘাট গ্রামের একজন সফল চাষী শওকত আলী জানান,এর আগে তুলা চাষ করে জমি প্রস্তুত,সার,সেচ,কীটনাশক,পরিচর্যাসহ উৎপাদন খরচ বাদ দিলে চাষীদের কিছুই থাকতো না।গত বছর তুলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ বাদ দিয়ে কিছুটা লাভ হয়েছিল।তাই এবছর তিনি ৫বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার তুলার ফলন আশানুরুপ হবে।এখন পর্যন্ত তুলা ক্ষেতের অবস্থা ভাল।একই কথা জানালেন,গাংনীর মনিরুল ইসলাম,গাঁড়াডোব গ্রামের তুলা চাষী শাহাজান আলী। তুলা চাষীরা আরও বলেন,সময় মত উন্নত জাতের তুলা বীজ পাওয়া গেলে,ও সরকারীভাবে ন্যায্য মূল্য পেলে আগামীতে তুলা চাষে আরো আগ্রহ বাড়াবে।সরকার প্রতিবছর বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার তুলা আমদামী করছে।কিন্তু আমাদের দেশে তুলার ন্যায্য মূল্য না দেয়ার কারণে দেশের চাহিদা মেটানোর মত কোন আবাদ হচ্ছে না। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক এবং বর্গা চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ বা আর্থিক সুবিধা না দিলে তুলা চাষ বাড়বে না।সরকারী ভাবে সহযোগীতা পেলে তুলা চাষ করে আরো লাভবান হবে চাষীরা।তুলা চাষে চাষীদের আগ্রহী করতে পারলে দেশের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান,তুলা চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার তুলার ফলন আশানুরুপ হবে।বিগত বছরের তুলনায় তুলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।Slider
দেশ - বিদেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
others
»
Zilla News
» উৎপাদন খরচ কম ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা তুলাচাষে আগ্র হেহেরপুরের চাষিরা
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: