Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » তামাক চাষে অধিক লাভবান হওয়ায় মেহেরপুরে তামাকের আবাদে ঝুকেছে চাষিরা




স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলেও মেহেরপুরে বন্ধ করা যাচ্ছে না তামাক চাষ । স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলেও মেহেরপুরের গাংনীতে কোন ক্রমেই বন্ধ করা যাচ্ছে না ব্যাপক তামাক চাষ। গাংনী উপজেলায় প্রায় ৪৫ ভাগ আবাদী জমিতে

হচ্ছে। গাংনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের গাফিলতি, কর্তব্য অবহেলার কারণে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার তামাকের চাষে ঝুঁকে পড়ছে এ এলাকার কৃষকরা। বিগত বছরগুলোতে তামাক চাষে অধিক লাভবান হওয়ায় এবং কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদাসীনতায় উৎসাহিত হয়েছে তামাক চাষীরা।এ সুযোগে তামাক উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো কৃষকের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে, ধানের আশানুরুপ ফলন না হওয়ায় খাদ্যশষ্য উৎপাদনের জমি তামাক চাষের কাজে অধিক হারে ব্যবহৃত হওয়ায় এবার বোরোর আবাদ কম হয়েছে। জেলা কৃষি উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, ২০০১ সালের কৃষি শুমারী অনুযায়ী এ জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ১২৪ হেক্টর। বর্তমানে গাংনী উপজেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ২৭ হাজার ৫শ’ হেক্টর বলে জানায় গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, স্বাভাবিক নিয়মের দ্বিগুন হারে এ উপজেলায় আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। এর প্রধান কারণ অস্বাভাবিকভাবে নতুন করে গড়ে উঠা ইটভাটা ও তামাক চাষে ঝুঁকে পড়া। উপজেলায় খাদ্যশষ্য উৎপাদনের জমি অধিকহারে তামাক চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে। এবার বোরো আবাদ তুলনামূলক কম হওয়ায় গাংনীতে মারাত্মক ভাবে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। একই ভাবে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডা. আব্দুল আল মারুফ জানান, তামাক চাষ স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। তামাক ঘরে জ্বালানো থেকে তামাক জাত পণ্যের প্রক্রিয়ার সাথে যারাই জড়িত তারাই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমনকি মারাত্মক ফুসফুস জনিত রোগে ভুগে থাকেন। তামাকের কাজে বৃদ্ধ ও শিশুদের ব্যবহার না করাই ভাল। বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশী রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সে কারনে তামাক চাষ বর্জন করাই ভাল। গাংনী কৃষি আফিস সূত্রে গেছে, গত মৌসুমে ১৫ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছিল। এ বছর গাংনী অঞ্চলে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি প্রায় ৪ হাজার হেক্টর, ঢাকা টোব্যাকো ৬ হাজার হেক্টর এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা গাংনী উপজেলায়। এই উপজেলায় ২৮ হাজার হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে তামাকের আবাদ হচ্ছে। এখানকার জমির বর্গামূল্য এমনই যে শুধুমাত্র তামাক চাষকালীন সময়ে ১ বিঘা জমিতে ১০/১৫ হাজার টাকায় ভাড়াবর্গা দেয়া হয়। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, এভাবে যদি কৃষি বিভাগ যদি এভাবে উদাসীনতা দেখায় তাহলে সাধারণ চাষিদের তামাক চাষ করা ছাড়া আর উপায় কি? তামাক চাষী গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের আমিরুল ও আবুল হোসেন জানান, বিঘা প্রতি জমিতে তামাক চাষে বীজ, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যাসহ মোট ব্যয় হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা যা তামাক উৎপাদনকারী কোম্পানি সম্পূর্ণ বহন করে। একারণে সাধারণ চাষীরা তামাক চাষে আসক্ত হয়ে পড়েছে।গাংনী উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুওে দেখা গেছে, হিন্দা, ভোমরদহ, ধর্মচাকী, মাইল মারী, ধলা , খাসমহল, রংমহল, , বাওট, ছাতিয়ান, হোগলবাড়ীয়াসহ বেশীরভাগ গ্রামে তামাক চাষ হয়েছে। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন আরও জানান, এমন একটা সময় আসবে যখন তামাক চাষের ফলে উপজেলায় আর কোন ফসলের চাষ করা সম্ভব হবেনা। এ অঞ্চলে তামাক চাষ বৃদ্ধির ধারা যেভাবে উর্ধ্বমুখী হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে গাংনীতে চরম খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply