Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের মালিথা পাড়ায় আগুনে চায়ের দোকান পুড়ে ছাই




গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের মালিথা পাড়ায় দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে একটি চায়ের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একই সাথে ইলেকট্রিক লাইনের তারসহ একটি সিলিং ফ্যান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছিল বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার ইউনুস আলী। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) দিবাগত গভীর রাত

তিনটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ইউনুস আলীর দাবী। এ ঘটনায় গাংনী থানায় অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। ইউনুস আলী ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। ভুক্তভোগী চায়ের দোকানদার ইউনুস আলী জানান, তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি সারাদিন ইটের ভাটায় কাজ করে বিকেলে এসে বাড়ির সামনে এ চায়ের দোকানটিতে ব্যাবসা পরিচালনা করেন। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত তিনটার দিকে তার পাশের মুদির দোকানদার আব্দুল খালেকের চিৎকারে তারসহ আশেপাশের লোকজনের ঘুম ভাঙ্গে। স্থানীয়রা ছোটাছুটি করে বাইরে এসে দেখে তার দোকানটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সকলের সহযোগিতায় প্রায় আধাঘন্টা ধরে প্রচেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে দোকানের চালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সাথে পুড়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার ও একটি ফ্যান। এতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতোপূর্বে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কেনা এলইডি টিভিটা কিস্তির টাকা পরিশোধ না হতেই চুরি হয়ে গেছে। অথচ দেড় মাসের মাথায় আবারো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল দোকান ঘরটি। এসব কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দাঁড়াতে স্থানীয় ও সরকারী সাহায্য সহযোগিতা চান তিনি। এ ঘটনায় গাংনী থানায় অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল খালেক জানান, রাস্তার পাশেই আমার মুদির দোকান। ইতোপূর্বে আমার দোকানের তালা ভেঙে প্রায় ৪ হাজার টাকা নগদসহ কিছু মালামাল নিয়ে যাই দুর্বৃত্তরা। তারপর থেকেই আমি আমার দোকানের মধ্যেই শুয়ে থাকি। বৃহস্পতিবার রাত তিনটের দিকে কে বা কাহারা আমার দোকানে ইট মেরে পালিয়ে যায়। আমি দোকান থেকে বেরিয়ে ইউনুস আলীর চায়ের দোকানের চালাতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখি। চিৎকার দেওয়ার সাথে সাথে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন রাতের আঁধারে সাহারবাটি- বাঁশবাড়িয়া বাইপাস পাকা সড়কের এই রাস্তাতেই এলাকার কিছু মানুষ নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি থেকে শুরু করে অনৈতিক কাজ পর্যন্ত করে থাকে। তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে চায় না। এই এলাকার মোড়ে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশী প্রহরা জোরদারের দাবি জানান তিনি। একই কথা জানিয়েছেন সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক হোসেন। স্থানীয় আব্দুর রহমানের ছেলে আমিরুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে তার বসত ঘরে বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে উঠান থেকে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে দুর্বৃত্তরা। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ওই চায়ের দোকানটির তালা ভেঙে একটি এলইডি টিভি, নগদ টাকা ও সিগারেটসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply