Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ভৈরব নদীর ওপর সেতুর দাবী ১২টি গ্রামের মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের




১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। স্কুলের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভৈরব নদ। নদের এপার-ওপার মিলিয়ে ১২টি গ্রামের একা হাজার ১০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে এই প্রতিষ্ঠানে। নদের ওপার থেকে আসে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। কিন্তু ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও নদের ওপর দিয়ে এখনো নির্মিত হয়নি ব্রিজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঁশের সাঁকো ও ফরাস দিয়ে নদ পারাপার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। কিছুদিন হলো স্থানীয় চেয়ারম্যান একটি ছোট নৌকা দিয়েছেন। যে নৌকায় একবারে ১০ জনের বেশি পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের পারাপারের জন্য স্কুল থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে একজন মাঝি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুল ছুটি শেষে ছয়-সাতজন শিক্ষার্থী নদের ওপারে বাড়ি যাওয়ার জন্য নৌকায় উঠছে। স্কুলের একজন স্টাফ (মাঝি) বৈঠা বেয়ে তাদের নদ পার করে ওপারে রেখে আসছেন। স্কুলটির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন রিয়াদ বলে, ‘আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেক দিন স্কুলে আসতে পারিনি।’ কোমরপুর গ্রামের রহিমা খাতুন নদীর এপারে এসেছিলেন আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে। স্কুল সময়ের মধ্যে নৌকা পার হতে হবে জেনে ওই সময় বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সাঁকো ভেঙে যাওয়ার কারণে এদিকে আসা-যাওয়ার খুব সমস্যা হয়।’ গোপালপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন বিভিন্ন ক্ষেত থেকে সবজি কিনে নদীর ওপারে যতারপুরে মোকামে বিক্রি করেন। প্রতিদিন স্কুল চলাকালে নৌকা পার হন। কিন্তু সেদিন দেরি হয়ে যাওয়ায় নৌকা পাননি। এখন তাঁকে কয়েকটি গ্রাম অতিক্রম করে মোকামে যেতে হবে। তিনি দাবি করে বলেন, ‘সেতুটা নির্মাণ না হওয়ায় দুই পারের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’ যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তাসলিমা আক্তার ও আফসানা মিমি ক্লাস শেষ করে দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। এরা কেউ সাঁতার জানে না। তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘নদের ওপার থেকে দুই শতাধিক ছেলেমেয়ে এই স্কুলে পড়ে। আমরা দুজনই ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এই স্কুলে পড়েছি। এসএসসি পাস করার পর আবার এখানেই ভর্তি হয়েছি। আমাদের মতো অনেকেই সাঁতার জানে না। আমাদের প্রতিনিয়িত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে কলেজে আসতে হচ্ছে।’ যাদুুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইদ কামাল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের পশ্চিম পাশ দিয়ে ভৈরব নদ বয়ে গেছে। নদে ওপারে যতারপুর, কোমরপুর, মহাজনপুর, সাহেবনগর, ইসলামপুর থেকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে লেখাপড়া করার জন্য নদ পার হয়ে আসে। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে আসে। এর আগে সাঁকো ও ফরাস নির্মাণ করে ছেলেমেয়েদের আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’ তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও যথাযথ উদ্যোগের অভাবে ব্রিজটা নির্মাণ করা হয়নি। কয়েকবার ব্রিজ নির্মাণের জন্য জমি পরিমাপ করা হয়েছে। তার পরও ব্রিজ নির্মাণের কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে নতুন করে তাগাদা দেওয়ার ফলে তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন যেন দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হয়। মেহেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ‘যাদুখালী গ্রামে ভৈরব নদে সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিপিতে প্রকল্প ধরা আছে। ঊর্ধ্বতন মহল থেকে অনুমতি না মেলায় টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।’ সুত্র: কালের কণ্ঠ






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply