জার্মান প্রেসিডেন্টকে ৩০ মিনিট অপেক্ষায় রাখল কাতার
কাতার সফরে গিয়ে সম্প্রতি ‘বিব্রতকর’ এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টেইনমায়ারকে। তাকে বহনকারী বিমানটি সময়মতো পৌঁছালেও, ওই বিমানের গেটেই জার্মান প্রেসিডেন্টকে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষায় রেখেছিল কাতার।
দোহা বিমানবন্দরে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টেইনমায়ারকে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষায় রেখেছিল কাতার। ছবি: সংগৃহীত
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দোহা বিমানবন্দরে লাল গালিচা, গার্ড অব অনারের মতো সব প্রস্তুতিই ছিল। কাতারে জার্মান রাষ্ট্রদূত লোথার ফ্রাইশলাডারও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। কিন্তু জার্মান প্রেসিডেন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না কাতারের কোনো সরকারি কর্মকর্তা।
গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) দোহায় অবতরণ করে জার্মান সামরিক বাহিনী বুন্ডেসভেয়ারের এয়ারবাস এ৩৫০ বিমানটি। গনগণে রোদে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর জার্মান রাষ্ট্রপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন কাতারের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী সুলতান আল-মুরাইচাই।
তবে দেরি হওয়া সত্ত্বেও, স্টেইনমায়ার সঠিক সময়ে উড়াল দেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দেখা করার জন্য।
স্টেইনমায়ারের সঙ্গে সেদিন একই বিমানে ছিলেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক রোজালিয়া রোমানিচ। তার মতে, জার্মান প্রেসিডেন্টের তিন দিনব্যাপী ইসরাইল সফরের ফলে কিছুটা ‘শীতল আচরণ’ করে থাকতে পারে কাতার।
আরও পড়ুন: ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ /ব্লিঙ্কেনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখলেন সৌদি যুবরাজ
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান ইসরাইল-হামাস সংঘাতের প্রেক্ষিতে কাতারের ভূমিকা জার্মানির দৃষ্টিভঙ্গিতে বেশ জটিল। কারণ কাতারেই হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বাস। অনেকের ধারণা, বুধবারের ওই ঘটনা হয়তো জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রভাব।
গেল অক্টোবরে আল থানির বার্লিন সফরের আগে জার্মান এক গণমাধ্যমকে বেয়ারবক বলেন, ‘সন্ত্রাসকে এভাবে সমর্থন করা আমরা মানি না। এই সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে কাতারের মতো রাষ্ট্রেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে।’
বেয়ারবকের এমন মন্তব্য কাতার কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে নেয়নি বলে জানা গেছে।
No comments: