কপ-২৮ সম্মেলন জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে খসড়া চুক্তি অনুমোদন

কপ-২৮ সম্মেলন জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে খসড়া চুক্তি অনুমোদন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘের কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে করা খসড়া চুক্তিটি অবশেষে অনুমোদন পেয়েছে। ইতিহাসে এ প্রথম জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে কোনো চুক্তি হলো। এতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া পর্যায়ক্রমে এ জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের কথা না বলে স্পষ্টভাবে তা থেকে সরে আসার কথা বলা হয়েছে। দুবাইয়ে জাতিসংঘের কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ নিয়ে একটি খসড়া চুক্তি অনুমোদন পেয়েছে। প্রতীকী ছবি বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সম্মেলনের সভাপ

তি সুলতান আল-জাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির। খবরে বলা হয়, খসড়া এ চুক্তিটিতে সম্মেলনে যোগ দেয়া ২শর বেশি দেশ স্বাক্ষর করেছে। সুলতান আল জাবের বলেন, ‘এই চুক্তি বিশ্বে এই প্রথম হলো। এটি একটি উন্নত ও পরিচ্ছন্ন বিশ্ব গঠনে সাহায্য করবে।’ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুবাই সময় দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিবিসি জানায়, এদিন সম্মেলনের পর্দা নামার কথা থাকলেও জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বুধবারও আলোচনা চলছিল। সম্মেলনের সভাপতি প্রতিটি দেশ এবং গোষ্ঠীর সঙ্গে একের পর এক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলন /জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে ‍নতুন খসড়া চুক্তি বেশ কয়েকটি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পর্কিত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) তুলে ধরা খসড়া চুক্তিটিকে ‘দুর্বল’ আখ্যা দিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। আগের একটি খসড়া প্রস্তাবনায় লেখা হয়েছিল: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু সবশেষ এ খসড়ায় সেকথা রাখা হয়নি।সম্মেলনে কোন চুক্তি হতে হলে অংশগ্রহণকারী ১৯৮টি দেশের প্রত্যেককেই এ বিষয়ে অবশ্যই একমত হতে হবে। রাতভর আলোচনার পর আজ (বুধবার) সকাল ৯টায় বিবিসি জানায়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে নতুন একটি খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ‘জীবাশ্ম জ্বালানির আউট ফেজ ’-এর কোনো উল্লেখ নেই। তবে নতুন এ খসড়া চুক্তিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে পর্যায়ক্রমে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের কথা না বলে স্পষ্টভাবে সরে আসার কথা বলা হয়। আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলনে /জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে মতবিরোধ, চুক্তি নিয়ে জটিলতা সংশোধিত খসড়া এ চুক্তিটিতে আরও বলা হয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসা হবে এ সংকটময় যুগে একটি ন্যায্য, সুশৃঙ্খল এবং ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতি। ২০৫০ সালের মধ্যে বিজ্ঞানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেট জিরো কার্বন নিঃসরণ মাত্রা অর্জনে এ পদক্ষেপ দ্রুত কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জলবায়ু সংকটের জন্য মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি দায়ী। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ শেষ করতে এর আগেই দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ প্রধান। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়তে থাকলেও এখনও বিশ্বের জ্বালানির প্রায় ৮০ শতাংশই আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে।