ইসরাইলি সেনাদের ওপর হিজবুল্লাহর হামলা
লেবানন-ইসরাইল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননভিত্তিক শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে লেবাননের দুই নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইসরাইলি সেনা এবং লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে হামলার সময় ধোঁয়া উড়ছে। ছবি: জেরুজালেম পোস্ট
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। আর এর পরপরই গাজায় ফিরে আসে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। শুরু হয় নির্বিচার হামলা।
এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১০৯ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ ফিলিস্তিনি। ফলে মোট নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছুঁয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরু হলে এই হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটি বলেছে, লেবানন-ইসরাইল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি সামরিক অবকাঠামোর কাছে ‘উপযুক্ত অস্ত্র’ ব্যবহার করে সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরাইলের সেনাদের লক্ষ্য করে এটিই হিজবুল্লাহর প্রথম হামলা।
আরও পড়ুন: গাজায় দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা ইসরাইলের
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, রোস হানকারা, মার্গালিওট ও কিরাত সমোনায় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ হামলা চালিয়েছে। তবে সব হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর হামলার পর লেবাননে তাদের লঞ্চার লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালানো হয়েছে।
লেবাননে শুক্রবার ইসরাইলি সেনারা হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির টিভি চ্যানেল আল-মানার। তারা বলেছেন, ইসরাইলিদের হামলায় হুলা শহরে এক নারী ও তার ছেলে নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাজার ৬০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস করেছে ইসরাইল
প্রায় দেড় মাস সংঘাতের পর গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল ও হামাস। গত ২৪ নভেম্বর সকাল থেকে কার্যকর হয় চারদিনের যুদ্ধবিরতি। এরপর আরও দুই দফায় তিনদিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতিকালে নিয়মিত বন্দি বিনিময় হয়েছে।
সবশেষ যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ৮ ইসরাইলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পান আরও ৩০ ফিলিস্তিনি। ১০৫ ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে মোট ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
আশা করা হচ্ছিল, নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়বে বা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা জোরদার হবে। কিন্তু তার আগেই নতুন করে সংঘাত শুরু হলো। তবে কাতারি, মিশরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
No comments: