Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » নজিরবিহীন সংকট, গাজায় দুর্ভিক্ষের শঙ্কা




গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি আড়াই মাস ধরে চলমান এ সংঘাতে গাজায় দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকটও। অবরুদ্ধ এ উপত্যকার প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দা ক্ষুধায় ধুকছে, যার সঙ্গে বাড়ছে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি। গাজায় তীব্র সংঘাতের বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে ৬ মাসের মধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটির ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) রিপোর্টে বলা হয়, গাজার সব মানুষই তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকটে রয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-সহ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে আইপিসি প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে। আরও পড়ুন: নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের আইপিসি হলো একটি বহু-অংশীদারভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক মান অনুযায়ী ক্ষুধা সংকটের তীব্রতা এবং মাত্রা নির্ধারণ করতে তথ্য বিশ্লেষণ করে থাকে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বাসিন্দারা তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৭০ হাজার মানুষের অবস্থা ভয়াবহ বিপর্যয়কর। তারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। গাজায় তীব্র সংঘাতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সীমিত মানবিক প্রবেশাধিকার চলতে থাকলে ৬ মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজাবাসী তাদের সব সম্পদ ব্যবহার করেছে। জীবিকা শেষ হয়ে গেছে, খালি পড়ে আছে দোকানগুলো। স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কর্মীদের জানিয়েছেন, তারা প্রায়শই পুরো দিন না খেয়ে কাটাচ্ছেন। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ না খেয়ে থাকছেন যাতে শিশুরা খেতে পারে। পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সেবা দিতে না পারলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি রয়েছে। আরও পড়ুন: গাজায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়ালো এ বিষয়ে ডব্লিউএফপির প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা পরিচালক আরিফ হোসাইন বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি (আইপিসির) আমাদের সবচেয়ে বড় ভয়ের দিকটিই অনেকটা নিশ্চিত করে।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছি। আমি আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়া, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়াতেও গিয়েছি। কিন্তু কোথাও এত খারাপ কিছু (গাজার মতো) ঘটতে দেখিনি। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply