Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » প্রজেক্ট সিন্ডিকেটের নিবন্ধ ইউরোপ কি ভেঙে পড়ছে?




ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে চায় ইউক্রেন। এটা দেশটির বহুদিনের স্বপ্ন। এজন্য দেশটিকে চরম মূল্যও দিতে হচ্ছে। ‘নিরাপত্তা হুমকি’ অভিহিত করে গত বছর দেশটিতে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তবে রুশ অভিযান কিয়েভকে তার অবস্থান থেকে টলাতে পারেনি; বরং তা আরও ত্বরান্বিত করেছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। ছবি: সংগৃহীত গত বছরই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার পথে প্রথম ধাপ পার করে ফেলে ইউক্রেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের পাঁচ দিনের মাথায় ইউনিয়নে যোগ দেয়ার আবেদন জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে পরবর্তী ধাপ তথা সদস্য করার প্রক্রিয়া আটকে যায়। কারণ এ প্রক্রিয়া শুরু করতে জোটের ২৭ সদস্য দেশের সবার সম্মতি বা অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের মধ্যেও হাল ছাড়েননি জেলেনস্কি। অবশেষে গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে সদস্য করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর নেতারা। এটা জেলেনস্কির জন্য নিশ্চিতভাবেই একটা বড় রাজনৈতিক জয়। এটাকে ইউক্রেন ও ইউরোপের ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছেন জেলেনস্কি। অন্যদিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘এটা এমন একটা মুহূর্ত যে আমাদের ইউনিয়নের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে খোদাই হয়ে থাকবে।’ আরও পড়ুন: ফের হাঙ্গেরির ক্ষমতায় পুতিন ঘনিষ্ঠ ওরবান তবে জেলেনস্কি ও উরসুলা ভন ডার লিয়েন এটাকে ‘জয়’ বললেও এখানে প্রকৃত বিজয়ী হয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের ইইউর সদস্য হওয়ার আলোচনা শুরুর ব্যাপারে বারবার বাধা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবশেষে গত সপ্তাহে বৈঠকস্থল ত্যাগ করার মাধ্যমে তিনি সেই কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসেন। যার ফলে ইইউ নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হন। ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বরাতে জানা যায়, ইউক্রেনের সদস্য হওয়ার আলোচনা শুরু করা নিয়ে যখন ভোটাভুটি হয়, তখন সম্মেলনকক্ষে ছিলেন না হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। তবে ওরবান জানতেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে অন্য নেতারা ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন। যদিও ওরবানের দিক থেকে বিপদ এখনও কাটেনি। ভবিষ্যতে যেকোনো সময় ইউক্রেনকে সদস্য করার আলোচনার প্রক্রিয়ায় বেঁকে বসতে পারেন তিনি এবং এর জন্য অনেকগুলো সুযোগ বা অস্ত্র তার হাতে রয়েছে। তবে আপাতত ইউক্রেনকে সদস্য করার আলোচনা শুরুর করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বড় অঙ্কের তহবিল বাগিয়ে নিয়েছেন হাঙ্গেরির এই নেতা। যে তহবিল বেশ কিছুদিন ধরে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত করে রেখেছিল ইইউ। আরও পড়ুন: ইউক্রেনের জন্য ইইউর বিশাল তহবিল আটকে দিলো হাঙ্গেরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবার কাছে এটা দিনের আলোর মতো পরিস্কার যে, ইইউ তহবিল ছাড় করতে কঠিন খেলায় নেমেছেন ওরবান। আর যতক্ষণ না এ ব্যাপারে শক্ত প্রতিশ্রুতি না পেয়েছেন ততক্ষণ পর্যন্ত ইউক্রেনকে সদস্য করার আলোচনা শুরু আটকে দিতে একের পর এক অজুহাত বের করেছেন তিনি। ইউক্রেনে হাঙ্গেরীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগ থেকে শুরু করে বর্তমান জেলেনস্কি সরকারে নজিরবিহীন দুর্নীতির বিষয়গুলোও সামনে এনেছেন। অবশেষে আগের সেই অবস্থান থেকে সরে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানান ওরবান যেটাকে ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট ভন ডার লিয়েন ‘কৌশলগত সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের জন্য হাঙ্গেরির বিচার ব্যবস্থায় সম্প্রতি ওরবান যে বিতর্কিত পরিবর্তন এনেছেন সেটাও মেনে নিয়েছেন বা নিতে বাধ্য হয়েছেন ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব’ সুরক্ষার নামে এনজিও তথা বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর দমনপীড়নে ওরবান সরকার গত সপ্তাহে যে কঠোর আইন পাস করেছে, তাতেও কার্যত সম্মতি জানিয়েছেন ভন ডার লিয়েন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল ছাড় অর্থাৎ চাঁদাবাজিতে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন ওরবান। অন্যদিকে ইইউ নেতারা যে আপোষকামিতার পথ বেছে নিয়েছেন তা ইউরোপের জন্য সামগ্রিকভাবে ভালো ফল বয়ে আনবে না। উল্টো কঠোর মূল্য চোকাতে হতে পারে। আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনায় রাজি ইইউ যদিও ইউক্রেন ইইউ সদস্য করার আলোচনা শুরু করার বিষয়টি প্রতীকী দিক দিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা ইউক্রেনীয়দের বিপদে তেমন সাহায্য করবে না। ইউক্রেন এখনও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এমন একটি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, যে শক্তি তাকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এদিকে ওরবান ভাল করেই জানেন যে, ইইউ ইউক্রেনকে নতুন করে যে ৫৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা দেশটির জন্য বিশেষ করে এই মুহূর্তে অতি জরুরি। কারণ যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা সরবরাহের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মার্কিন কংগ্রেসনাল রিপাবলিকানদের বাধার কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এরপরও আর্থিক সহায়তার বিল আটকে দেন ওরবান। ইউরোপীয় নেতারা এখনও ভেটো ক্ষমতাধারী রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হাঙ্গেরিকে মোকাবেলার কৌশল খুঁজে পাননি। একটি অপেক্ষাকৃত ছোট দেশ যৌক্তিক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে যখন ইইউ বস্তুগত বিষয়গুলোতে ঐক্যমত্য তৈরির মেশিন হিসাবে সঠিকভাবে কাজ করত। কিন্তু সেই দিনগুলো অনেক আগে গত হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply