দুই তৃতীয়াংশ ইসরাইলি যুদ্ধবিরতি চায়

দুই তৃতীয়াংশ ইসরাইলিই গাজায় যুদ্ধবিরতি চায়। ইসরাইলি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। হামাসের হাতে জিম্মি নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে স্বজনদের বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত ইসরাইলি গবেষণা সংস্থা লাজার ইনস্টিটিউট এই জরিপটি চালিয়েছে। যা ইসরাইলি দৈনিক মারিভে প্রকাশিত হয়েছে। জরিপ মতে, ৬৭ শতাংশ ইসরাইলি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতিও বন্দিবিনিময় চুক্তি চায়। জরিপ মতে, যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দি মুক্তির বিপক্ষে মাত্র ২২ শতাংশ ইসরাইলি। জরিপটি চালানো হয়েছে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৫০২ ইসরাইলির ওপর। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে ইসরাইলের ১ হাজার ১৪৭ নাগরিক নিহত হয়। এছাড়া দুই শতাধিক ইসরাইলি নাগরিককে জিম্মি করে তারা। আরও পড়ুন: দক্ষিণ গাজায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী বোমা ফেলল ইসরাইল এরপর ইসরাইল ও হামাস সংঘাত শুরু হয়। প্রায় দেড় মাস পর গত মাসে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। যা গত ২৪ নভেম্বর সকাল থেকে কার্যকর হয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকালে শেষ হয়। যুদ্ধবিরতির ৭ দিনে ১০৫ জিম্মি ‍মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে ছেড়ে দেয় ইসরাইল। এরপরই যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যায়। আবারও গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। কিন্তু হামাসের হাতে ইসরাইলের এখনও ১২৯ নাগরিক আটক রয়েছে। এসব জিম্মির কারণে দেশে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। চাপের মুখে চলতি সপ্তাহে হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় তারা। তবে শর্ত দেয়, সাতদিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ৪০ জন বন্দির মুক্তি দিতে হবে। আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় গুরুতর আহত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কিন্তু ইসরাইলের এই শর্তযুক্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। গোষ্ঠীটি বলেছে, ইসরাইল আগে গাজায় হামলা চালানো বন্ধ করলেই বন্দি মুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।