Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » আফগান মেয়েরা পড়তে পারবে মাদ্রাসায়: তালেবান




সব বয়সের আফগান মেয়েদের ধর্মীয় স্কুল বা মাদ্রাসায় পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসায় মেয়েদের বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ‘আফগানিস্তানে সরকারি মাদ্রাসাগুলোতে স্কুলের মতো একই নীতি রয়েছে’ গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানী কাবুলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানের বর্তমান নারী শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মনসুর আহমেদ। আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফেরার পরই নারীদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তালেবান সরকার। এর মধ্যে নারী শিক্ষার পরিধি সীমিত করা অন্যতম। আফগান মেয়েদের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির পর পড়াশুনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় দূরের কথা, প্রাথমিক পার হলেই আর স্কুলে যেতে পারবে না মেয়েরা। তবে ষষ্ঠ শ্রেণীর পর আরও পড়তে চাইলে তারা মাদ্রাসায় যেতে পারবে। নারী শিক্ষায় বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে তালেবান সরকার। এরপরও তারা নিজেদের অবস্থানেই অটল। আরও পড়ুন: আফগানিস্তান /নির্যাতন থেকে বাঁচাতে নারীদের কারাগারে রাখছে তালেবান! চলতি সপ্তাহে এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মনসুর আহমেদ বলেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসায় পড়াশুনার ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। একমাত্র শর্ত হলো, মেয়েদের অবশ্যই এমন ক্লাসে থাকতে হবে যা তাদের বয়সের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি তার বয়স ক্লাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হয় এবং বয়স খুব বেশি হয়, তাহলে তাকে অনুমতি দেয়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি মাদ্রাসাগুলোতে স্কুলের মতো একই নীতি রয়েছে এবং বয়স্ক নারীদের ছোটদের ক্লাসে পড়তে অনুমতি দেয়া হয় না।’ তবে আহমেদের মতে, বেসরকারিভাবে পরিচালিত মাদ্রাসাগুলোতে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই এবং সেখানে প্রাপ্তবয়স্ক নারীসহ সব বয়সের মেয়েরা পড়তে পারে। এই তালেবান কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের একদিন আগেই জাতিসংঘের বিশেষ দূত রোজা ‍ওতুনবায়েভা নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় বলেন, ‘মেয়েরা ধর্মীয় স্কুল তথা মাদ্রাসাগুলোতে পড়াশুনা করতে পারছে, এমন অনেক প্রমাণ জাতিসংঘের হাতে আসতে শুরু করেছে। আরও পড়ুন: সাবেক আফগান গোয়েন্দাপ্রধানের দাবি /ক্ষমতা সুসংহত করতে পারমাণবিক অস্ত্র চায় তালেবান! তবে মাদ্রাসাগুলোর পড়াশুনার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওতুনবায়েভা। বলেন, মাদ্রাসাগুলো কেমন তা পরিষ্কার নয়। সেখানে মানসম্মত কারিকুলাম আছে কি না, আধুনিক শিক্ষা দেয়া হয় কি না; তা স্পষ্ট নয়। মনসুর আহমেদের মতে, আফগানিস্তানে ২০ হাজার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা মাদ্রাসা রয়েছে। এরমধ্যে ১৩ হাজার ৫০০টি সরকার নিয়ন্ত্রিত। বেসরকারি মাদ্রাসাগুলো হয় মসজিদ, না হয় বাড়িভিত্তিক। তবে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এসব মাদ্রাসায় কতজন মেয়ে পড়াশুনা করে তা বিস্তারিত জানাননি এই কর্মকর্তা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply