ইসরাইলের ‘পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে’ হামলা চালিয়েছে হামাস!
পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে সব সময়ই কড়া গোপনীয়তা বজায় রাখে দেশগুলো। বিশ্বের অন্তত ৯টি দেশের হাতে পরমাণু বোমা আছে বলে ধারণা করা হয়। এ ক্ষেত্রে অন্যদের তথ্য কম-বেশি পাওয়া গেলেও, পরমাণু অস্ত্র মজুতের ব্যাপারে কখনোই কিছু খোলাসা করেনি ইসরাইল। তবে এবার জানা গেছে, ইসরাইলি ‘পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে’ আঘাত হেনেছিল হামাসের রকেট।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় তাদের একটি রকেট ইসরাইলি ‘ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে’ আঘাত হানে। স্যাটেলাইট ছবি (সংগৃহীত)
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় তাদের একটি রকেট ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির খবর না পাওয়া গেলেও, এর কাছাকাছি স্থানে আগুন ধরে যায়। মধ্য ইসরাইলের সেদত মিচা নামক স্থানে এ হামলা চালায় হামাস। সেখানে আরও অনেক ধরনের ‘স্পর্শকাতর অস্ত্র’ মজুত করা ছিল বলে দাবি করা হয় নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।
ইসরাইল স্বীকার না করলেও ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক কান্স ক্রিস্টেনসেনের দাবি, ইসরাইলের কাছে ২৫ থেকে ৫০টি পরমাণু-সক্ষমতার জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার আরও একটি স্কুলে ইসরাইলি হামলা, নিহত ২৫
তার মতে, ‘ওয়ারহেডগুলো সম্ভবত ওই ঘাঁটি থেকে দূরে একটি পৃথক স্থানে রাখা ছিল। ফলে এ আক্রমণের সময় সেগুলো হুমকির মুখে পড়েনি।’
ইসরাইলি পারমাণবিক অস্ত্র মজুতের সম্ভাব্য জায়গায় হামাসের এ হামলার খবর এতদিন অপ্রকাশিত ছিল। তবে হামাস যোদ্ধারা জেনেশুনেই সেখানে হামলা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কেননা ঘাঁটিটি দেখতে একটি সাধারণ সামরিক স্থাপনার মতোই। এ বিষয়ে ইসরাইল কিংবা হামাস কোনো পক্ষেরই মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সতর্কীকরণ অ্যালার্ম ডেটা অনুসারে, সেদত মিচার আশপাশের অঞ্চলে কয়েক ঘণ্টা ধরে রকেট হামলা চলানো হয়েছিল। গত ৭ অক্টোবর আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে ইসরাইল কতগুলো রকেট আটকাতে সক্ষম হয়েছিল, তা জানা যায়নি। তবে হামাসের বেশ কিছু রকেট আয়রন ডোমের সুরক্ষাব্যূহ ভেদ করে ঢুকে পড়ে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
নিউইয়র্ক টাইমসের এ অনুসন্ধানের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: দুই মাসে ১৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল
নিউইয়র্ক টাইমস সেদত মিচায় আক্রমণের ফলে সৃষ্ট আগুন শনাক্ত করতে নাসার স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে। সেখানে দেখা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে এ ঘাঁটিতে এই মাত্রার (৭ অক্টোবরের মতো) কোনো আগুন লাগেনি।
আক্রমণের আরও প্রমাণ পাওয়া যায় স্যাটেলাইট ছবি, রকেট অ্যালার্ম রেকর্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে। এতে রকেট হামলায় সৃষ্ট আগুন নেভাতে ব্যাপক প্রচেষ্টাও দেখা গেছে।
Tag: English News others world
No comments: