Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: নেতাদের ‘জেদে’ ভুগছে জনগণ, দেখছে বিশ্ব




বর্তমানে বিশ্বে যে কয়টি দেশ ও অঞ্চলে সর্বাত্মক ও রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে, তার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যতম। এই সংঘাত বছরজুড়ে আলোচনায় থাকলেও ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণে কিছুটা মনোযোগ হারিয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধ সহসা থামার কোনো লক্ষণ নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় দুই বছর ধরে। তবে উভয় পক্ষই এখনও তাদের নিজ নিজ লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধপরিকর। ছবি: সংগৃহীত এই সংঘাতে উভয় পক্ষই নিজ নিজ লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধপরিকর। যা দুই শিবিরের নেতাদের বক্তব্য ও পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে স্পষ্ট। দুই পক্ষের নেতাদের এই জেদে ভুগছে সাধারণ জনগণ। এরই মধ্যে এই সংঘাতে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে কয়েক লাখ মানুষ হতাহত হয়েছে। উদ্বাস্তু বা শরণার্থী জীবন যাপন করছে প্রায় এক কোটি। পুরো বিশ্বই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মধ্যদিয়ে শুরু হয় এই সংঘাত। যেটাকে মস্কো ‘সামরিক অভিযান’ অভিহিত করে আসছে। বিপরীতে ইউক্রেন একে ‘আগ্রাসন’ অভিহিত করে প্রতিরোধ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় ইউক্রেনের যোগ দেয়ার চেষ্টা যুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ। যেটাকে গত কয়েক বছর ধরে মস্কো তার নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বলে অভিহিত করে আসছে। গত বছর হামলা শুরু হলেও সংঘাতের শুরু মূলত আরও আগে ২০১৪ সালে। ২০১৫ সালের মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন, কৃষ্ণসাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবির চালানোর অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। আরও পড়ুন: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা /ইউক্রেন যুদ্ধে হতাহত ৩ লাখ ১৫ হাজার রুশ সেনা যুদ্ধের প্রায় দু’বছরে ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন প্রদেশ দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এসব প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দিয়েছে মস্কো। এ যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে গত কয়েক মাস ধরে এই সহায়তার প্রবাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। সংঘাতে হতাহত এই সংঘাতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। উভয় পক্ষের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির যেসব তথ্য সামনে আসছে, তা এক কথায় রোমহর্ষক। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অফিস অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস তথা ওএইচসিএইচআরের তথ্য মতে, সংঘাতের শুরু থেকে ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। যার মধ্যে নিহত প্রায় ১০ হাজার। আহত ১৮ হাজার। আরও পড়ুন: যেসব অস্ত্রে যুদ্ধে মেতেছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক হতাহত কতো হয়েছে সে ব্যাপারে ইউক্রেন ও রুশ কর্তৃপক্ষ কোনো পক্ষই সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। তবে বিভিন্ন সূত্র ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, সংঘাতে উভয় পক্ষের সেনাবাহিনীর ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের একটি সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন। এ সংখ্যা ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেয়া রাশিয়ার বাহিনীর প্রায় ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে ইউক্রেন ৭০ হাজার সেনা হারিয়েছে। যা গত মাসে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানায় নিউইয়র্ক টাইমস। ইউক্রেনের ‘পাল্টা অভিযান’ ব্যর্থ মূলত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে রুশ সেনারা। তবে তারা ইউক্রেনীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো দখলে নিতে সমর্থ হয়। মস্কোঅধিকৃত এলাকাগুলো ইউক্রেনের মোট আয়তনের প্রায় ২০ শতাংশ বা এক-পঞ্চমাংশের সমান যা গত বছরের সেপ্টেম্বরেই রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করা হয়। আরও পড়ুন: কীভাবে শেষ হবে ইউক্রেন যুদ্ধ, জানালেন ন্যাটো প্রধান রুশ অধিকৃত এসব এলাকা পুনরুদ্ধারে চলতি বছরের জুন মাসে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা আরও উন্নত অস্ত্র নিয়ে রুশ বাহিনীর ওপর নতুন উদ্যমে হামলা শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যেটাকে দেশটি ‘পাল্টা অভিযান’ বলে অভিহিত করে। এরপর ছয় মাস পার হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে বড় কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি ইউক্রেন। কিয়েভ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পশ্চিমারা ইউক্রেন যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে বড় স্থলযুদ্ধ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্র একাই শত কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। তবে আর অস্ত্র-শস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা না দেয়ার কথা জোরোশোরেই শোনা যাচ্ছে পশ্চিমা নেতাদের মুখে। আরও পড়ুন: আদৌ কি থামবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? এ যুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয় অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এ পরিস্থিতিতে অস্ত্র আর অর্থের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের কাছে আবারও ধরনা দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ সফরে যান তিনি। তবে মিত্র দেশগুলোর কাছে থেকে আশানুরূপ সাড়া পাননি। যুদ্ধের শেষ কোথায় ইউক্রেন যুদ্ধ কবে শেষ হবে সে বিষয়ে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য অর্জন হলেই কেবল ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আসবে। ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর প্রথমবারের মতো দীর্ঘ এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন সাংবাদিক ও রাশিয়ার সাধারণ নাগরিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। আলোচনার প্রথমেই প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব ছাড়া আমাদের দেশের অস্তিত্ব অসম্ভব। এটি একেবারেই থাকবে না।’ পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন নিয়ে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত ও বেসামরিকীকরণ করা। আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করলেই ইউক্রেনে শান্তি আসবে।’ পুতিন আরও বলেন, রাশিয়ার মোট ৬ লাখ ১৭ হাজার সৈন্য ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে। এর বাইরে আরো ৩ লাখ রাশিয়ানকে গত বছর যুদ্ধের জন্য ডাকা হয়েছিল। এছাড়াও ৪ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ সেনাবাহিনীতে আসার জন্য নিবন্ধন করেছে। আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে সেনারা তৈরি আছে এবং এর সংখ্যা কমছে না। এদিকে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা ও চলমান যুদ্ধের একজন শীর্ষ কমান্ডার রমজান কাদিরভ। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের এই প্রেসিডেন্ট। আরও পড়ুন: যে কারণে ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে না, জানালেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাদিরভ বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী যেভাবে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে, আমরা যদি তাদের রণকৌশল অনুসরণ করি- তাহলে আগামী তিন মাসের মধ্যে, অর্থাৎ শীত শেষ হওয়ার আগেই কিয়েভের দখল নেয়া সম্ভব। কিন্তু আমাদের প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির পুতিন) বারবার নির্দেশ দিয়েছেন, ইউক্রেনের ভবন ও অবকাঠামোগত স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি যেন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হয়। এ কারণে আমাদের খানিকটা বেশি সময় লাগবে। তবে আশা করছি, ২০২৪ সালের গ্রীষ্মের মধ্যেই এ যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর লোকবল, গোলাবারুদ ও রসদের যে অবস্থা, তাতে অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি- ২০২৪ সালের জুনের আগেই তারা যুদ্ধ করার সক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে ফেলবে। সাক্ষাৎকারে রমজান কাদিরভ বলেন, ‘ইউক্রেনে রুশ সেনারা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে এবং চেচেন সেনারা রুশ বাহিনীর সামনের সারিতে রয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply