Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ইসরাইলের যে ‘সিক্রেট’ এখন সবাই জানে




বিশ্বের হাতেগোনা যে কয়টি দেশের কাছে পরমাণু বোমা রয়েছে তার মধ্যে ইসরাইল অন্যতম। তবে দেশটির নেতারা কখনও প্রকাশ্যে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেননি। আবার কখনও অস্বীকারও করেননি। পরমাণু অস্ত্র সম্প্রসারণ বন্ধে যে ‘নন-প্রোলিফেরাশন ট্রিটি’ (এনপিটি) রয়েছে এবং যাতে বিশ্বের যে চারটি দেশ এখনও স্বাক্ষর করেনি তার একটি ইসরাইল। ইসরাইলের নেতারা কখনও প্রকাশ্যে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেননি। আবার কখনও অস্বীকারও করেননি। ছবি: সংগৃহীত ইসরাইলের নেতারা কখনও প্রকাশ্যে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেননি। আবার কখনও অস্বীকারও করেননি। ছবি: সংগৃহীত আন্তর্জাতিক ডেস্ক ৪ মিনিটে পড়ুন তবে চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র থাকার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ইসরাইলি নেতারা। এক ইসরাইলি মন্ত্রী ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পরমাণু বোমা ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন যার মধ্যদিয়ে তাদের এতদিনের ‘সিক্রেট’ দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। এমিচাই এলিয়াহু। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের কট্টর ডানপন্থী দল ওজমা ইয়েহুদি’র একজন সদস্য। হেরিটেজ বা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী এমিচাই সংঘাত ও সহিংসতার উসকানির জন্য পরিচিত। যা চলমান সংঘাতের মধ্যে তার একাধিক মন্তব্যে আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে। ইসরাইলের নির্বিচার ও বিরামহীন বিমান হামলায় গাজা উপত্যকা যখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে, তখন গাজা শহরের একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘গাজার উত্তরাঞ্চল আগের চেয়ে আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে। সব গুঁড়িয়ে দাও; এটা খুব সুন্দর।’ আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পরমাণু বোমায় মারা যেতে পারে রাশিয়ার ৩ লাখ মানুষ! তবে ফ্যাসিবাদী এই রাজনীতিকের শেষ উক্তিটি ছিল আরও ভয়ঙ্কর ও গুরুতর। তিনি বলেন, ‘গাজার নরক’ তিনি উপভোগ করছেন। যেখানে ইসরাইলের বোমাবর্ষণে ৪ হাজারের বেশি শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, সেখানে এক রেডিওতে সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি এই নেতা বলেন, গাজায় যে ‘সামরিক অভিযান’ চালানো হচ্ছে তাতে তিনি ‘পুরোপুরি সন্তুষ্ট’ নন। ‘গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের অন্যতম বিকল্প হলো পরমাণু বোমা ফেলা।’ স্বাভাবিকভাবেই এসব মন্তব্য বিশ্বের মানবিক ও বিবেকবান মানুষকে চরম ক্ষুব্ধ করেছে। যে ক্ষোভের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে পরবর্তী দিনগুলোতে আরব দেশগুলো থেকে পশ্চিমা দেশগুলো পর্যন্ত। তুমুল সমালোচনার মুখে নিজের সেই মন্তব্যে প্রলেপ দিয়ে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন মন্ত্রী এমিচাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘যারা বিবেকবান তাদের কাছে এটা পরিষ্কার যে পরমাণু বিষয়ক মন্তব্যটি রূপক ছিল।’ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে সরকারের এক শীর্ষ মন্ত্রীর এই বিস্ফোরক মন্তব্য সরকার প্রধান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ব্যাপক বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়। যা থেকে মুক্তি পেতে ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত’ সরকারের কর্মকাণ্ড থেকে মন্ত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ গাজায় পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করার জন্য ইসরাইলি মন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে দ্রুতই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। (এমন পরিস্থিতির মধ্যে) এ ধরনের একটি মন্তব্য বেশ আপত্তিকর।’ অবশ্য ইসরাইলি মন্ত্রীর ওই মন্তব্যকে মার্কিন কর্মকর্তা কোন দৃষ্টিকোন থেকে ‘আপত্তিকর’ বলেছেন তা স্পষ্ট নয় বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ গাজায় ইসরাইল প্রকাশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুতর কিছু দেখেনি’ বলেই জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এবার দেখা যাক, ইসরাইলি মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া কি বলেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বলেছেন, ‘(ইসরাইলি মন্ত্রীর) এই শব্দগুলো এই ধরনের (পরমাণু) অস্ত্র থাকার ব্যাপারে তেল আবিবের দীর্ঘ গোপন অবস্থান সম্পর্কে বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’ ইলিয়াহুর মন্তব্যের পর জাখারোভা এক লাইভ টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রথম প্রশ্ন হলো, আমরা কি সরকারি বিবৃতি শুনলাম যে, ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র আছে?’ জাখারোভার এই প্রশ্ন যথার্থই। কারণ ইসরাইল কখনও প্রকাশ্যে নিশ্চিত করেনি যে তাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরাইলের প্রায় ১০০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। আরও পড়ুন: গাজায় পরমাণু বোমা ফেলার পরামর্শ ইসরাইলি মন্ত্রীর জাখারোভার প্রশ্ন ‘(তাহলে) আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কোথায়? কোথায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। কোথায় তাদের পর্যবেক্ষকরা।’ জাখারোভা আরও মনে করেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে একটা পরমাণু মুক্ত অঞ্চল তৈরির ক্ষেত্রে ইসরাইল কেন বিরোধিতা করে তার আসল কারণগুলোর ওপরই আলো ফেলেছে ইসরাইলি মন্ত্রী ইলিয়াহুর ওই মন্তব্য। গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করার পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়। মিসরের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তাতে জায়নবাদী দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএর তদারকির আওতায় আনতে বলা হয়। কিন্তু বিশ্বের ১৫২টি দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলসহ পাঁচ দেশ। অর্থাৎ সারাবিশ্ব চাইলেও ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করা হোক তা চায় না যুক্তরাষ্ট্র। আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু অস্ত্র থাকলে সৌদিরও থাকতে হবে: সালমান যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র ও ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুখপাত্র জাখারোভা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যদি ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি থেকে থাকে, তাহলে সেগুলোর পরীক্ষা কোথায় করা হয়েছিল, কোন কোন কেন্দ্রে? আপাতদৃষ্টিতে তা এই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্যে) নয় বলেই মনে হয়। তাহলে কোথায়? আর এসবের পেছনে কি যুক্তরাষ্ট্র নেই? অন্যদিকে ইরানের আনবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মাদ ইসলামি বলেন, ‘আরও একবার ইসরাইল তাদের কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্রের কথা স্বীকার করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ইসরাইল গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর পরমাণু বোমা হামলার হুমকি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply