Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » বাংলাদেশ টানা ছয় হারের পর পেয়েছে জয়ের স্বাদ।




হতাশা মাড়িয়ে জয়ের আলোতে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ। ছবি-এএফপি নদীর ভয়াল গ্রাসে মানুষ যখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে তখন পিঠ বাঁচাতে খড়কুটোও আকড়ে ধরে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থাও অনেক তেমন। একের পর এক পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত। শেষ সম্বল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা টুকু বাঁচিয়ে রাখা। এর জন্য প্রতিপক্ষকে থামানোর সব চেষ্টা কাজে লাগাল বাংলাদেশ। বিশ্ব ক্রিকেট দেখল প্রথমবারের মতো ‘টাইমড আউট’ এর নজির। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের এমন আউটের পর তোপের মুখে পড়েন সাকিব আল হাসান। তবে, সব বির্তক ছাপিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। টানা ছয় হারের পর পেয়েছে জয়ের স্বাদ। বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে তিন উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৮২ রান নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। টানা ছয় হারে বাংলাদেশের বিদায় হয়ে গেছে আগেই। আজ হারলে হুমকির মুখে পড়ত ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা। তবে, সেই হুমকি থেকে কিছুটাও হলেও স্বস্তি পেল বাংলাদেশ। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য লক্ষ্য পড়ে ২৮০ রানের। এই রান তাড়ায় যথারীতি শুরুতেই বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দিলশান মাদুশঙ্কার অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে পাথুম নিশানকার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ তামিম (৯)। একই ওভারে লিটনও পড়তে পারেন দিলশানের ফাঁদে। কিন্তু ডিপ ফাইন লেগে কুশল পেরার ক্যাচ মিস করায় সেই যাত্রায় রক্ষা পান লিটন। ৬ রানে জীবন পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে পারলেন না লিটন। ২৩ রানের মাথায় সেই দিলশানের এলবির ফাঁদে পড়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। ৪১ রানে জোড়া উইকেট হারানোর পর চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন সাকিব ও শান্ত। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১৬৯ রানের জুটি। এই জুটিতেই জয়ের গল্প লিখে ফেলে বাংলাদেশ। যেই ব্যাটিং নিয়ে হতাশার কথা ঝরছিল সবার মুখে সেই ব্যাটিংয়েই আজ ফুটল স্বস্তির ফুল। সাকিব-শান্তর ব্যাটে রানের ছুটল রানের ফোয়ারা, আত্মবিশ্বাসেও টগবগে। লঙ্কান ব্যাটারদের পাত্তা না দিয়ে অনায়সেই দলের জয়ের রাস্তা সহজ করে দেন। ২১০ রানে সাকিবের আউটে ভাঙে এই জুটি। আসালাঙ্কার বলে পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। ৬৫ বলে ৮২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক। সাকিবের পর শান্তও যেতে পারলেন না সেঞ্চুরির ঘরে। তার প্রতিরোধ ভাঙে ৯০ এর ঘরে। ম্যাথুজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শান্ত। ১০১ বলে তার ইনিংসের সাজানো ১২ বাউন্ডারি দিয়ে। মাঝে মুশফিকও ফিরে যান বোল্ড হয়ে। তবে শেষ দিকে বাকিদের ব্যাটে চড়ে ৫৩ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশ পৌঁছে যায় জয়ের দুয়ারে। এর আগে টস জিতে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। বোলিং ইনিংসের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। প্রথম ওভারেই শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি ভাঙেন শরিফুল। তুলে নেন কুশল(৪) পেরারার উইকেট। অবশ্য ওই উইকেটে বড় অবদান কিপার মুশফিকের। শরিফুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে যান কুশল। তবে, ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় প্রথম স্লিপে, ঝাপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন মুশফিক। শুরুর ধাক্কা দ্বিতীয় জুটিতেই কাটিয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিশানকা ও ওয়ানডাউনে নামা কুশল মেন্ডিস মিলে ভোগান বাংলাদেশকে। তিন পেসার মিলে যখন এই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না তখন ত্রাতা সাকিব। নিজের প্রথম ওভারেই এসে তুলে নেন মেন্ডিসের উইকেট। বাংলাদেশ অধিনায়কের স্লোয়ার বলে অবশ্য বাউন্ডারিতে উড়াতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। কিন্তু ফিল্ডার শরিফুল সীমানার কাছে স্লাইড করে তুলে নেন দারুণ ক্যাচ। তাতে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে মেন্ডিস (১৯)। অধিনায়কের পর নিশানকার থামান বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা তানজিম সাকিব। তরুণ এই পেসারের বলে স্টাম্প হয়ে থামে নিশানকার ঝড়। ৩৬ বলে ৪১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর সাদিরা সামারাউইক্রামা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে মিলে উপহার দেন ৬৩ রানের জুটি। ২৪.২ ওভারে ওই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান সাকিব। ঠিক তখনই ঘটে যায় আরেকটি ঘটনা। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখে প্রথমবার। সাকিবের বলে সাদিরা আউট হলে উইকেটে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। উইকেটে এসে কোনো বল না খেলেই তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে। কারণ, তিনি ‘টাইমড আউট’। ক্রিকেটের ক্লজ ১৬.২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, একজন ব্যাটার আউট হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় নতুন ব্যাটারকে স্ট্রাইক নিতে হয়। কিন্তু হেলমেটের জটিলতায় সেটা করতে ব্যর্থ হওয়ায় টাইমড আউট হয়ে ফেরেন ম্যাথুজ। ম্যাথুজকে হারালেও রান তুলতে সমস্যা হয়নি শ্রীলঙ্কার। দ্রুত উইকেট হারানোর বিপদ সামলে দেন চারিথ আসালাঙ্কা। ডি সিলভার সঙ্গে দলকে দুইশ পার করেন তিনি। ২১৩ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরিয়ে দেন ডি সিলভাকে। ৩৬ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন ডি সিলভা, ভাঙে ৭৮ রানের জুটি। একের পর এক উইকেট হারালেও থামানো যায়নি আসালাঙ্কাকে। ১০১ বলে তিনি পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে এনে দেন ২৭৯ রানের শক্ত পুঁজি। আসালাঙ্কা করেন ১০৮ রান। সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯/১০ (নিশানকা ৪১, পেরেরা ৪, মেন্ডিস ১৯, সামারাবিক্রমা ৪১, আসালাঙ্কা ১০৮, ম্যাথিউস ০, সিলভা ৩৪, থিকসানা ২২, চামিরা ৪, রাজিথা ০, মধুশঙ্কা ০; শরিফুল ৯.৩-০-৫২-২, তাসকিন ১০-১-৩৯-০, তানজিম ১০-০-৮০-৩, সাকিব ১০-০-৫৭-২, মিরাজ ১০-০-৪৯-১) বাংলাদেশ: ৪১.১ ওভারে ২৮২/৭ (তামিম ৯, লিটন ২৩, শান্ত ৯০, সাকিব ৮২, মাহমুদউল্লাহ ২২, মুশফিকুর ১০, হৃদয় ১৫, মিরাজ ৩, সাকিব ৫; মধুশঙ্কা ১০-১-৬৯-৩, থিকসানা ৯-০-৪৪-২, রাজিথা ৪-০-৪৭-০, চামিরা ৮-০-৫৪-০, ম্যাথিউস ৭.১-১-৩৫-২, সিলভা ৩-০-২০-০) ফলাফল: বাংলাদেশ তিন উইকেটে জয়ী।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply