Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় ফাটল!




গাজায় চলমান আগ্রাসনের মধ্যে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় ফাটলের খবর বেরিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পরপরই যুদ্ধকালীন একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করেন নেতানিয়াহু। ওই মন্ত্রিসভায় তিনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা, এমনকি বিরোধী দল থেকেও অন্তর্ভুক্ত করেন। গত রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট ঘিরে মতবিরোধ প্রকাশ্য হয় ইসরাইলের রাজনীতিতে। ওই রাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লিখেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার বিষয়ে আগাম কোনো সতর্কবার্তা পাননি তিনি। হামলার দায়ও একপ্রকার ইসরাইলের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধানদের ওপর চাপান তিনি। ওই বক্তব্যের পর তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন নেতানিয়াহু। ইসরাইলের রাজনৈতিক নেতারা তার সমালোচনা করে বলেন, গাজায় যখন জটিল এক সামরিক অভিযান চলছে, তখন রাজনীতি নিয়ে খেলছেন প্রধানমন্ত্রী। এই ক্ষোভ এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে নিজের পোস্টটি মুছে দেন নেতানিয়াহু। ক্ষমা চেয়ে বলতে বাধ্য হন, ‘আমি ভুল বুঝেছিলাম।’ ওই মন্ত্রিসভার সদস্য সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গাৎস ইসরাইলের সেনাবাহিনী ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে নেতানিয়াহুকে ওই টুইট প্রত্যাহারের দাবি জানান। নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন অন্য রাজনৈতিক নেতারাও। দেশটির বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাবিগদর লিবারম্যান বলেন, নেতানিয়াহু জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় আগ্রহী নন। জিম্মিদের নিয়েও তার আগ্রহ নেই। তিনি শুধু রাজনীতি করছেন। ইসরাইলে হামাসের হামলাকে দেশটির সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে নেতানিয়াহুর টুইট ও বিরোধীদের পাল্টা সমালোচনা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দেশটির নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত অনেকেই নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন। তবে নিজের ওপর এর দায় নিতে নারাজ নেতানিয়াহু। লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চাথাম হাউসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রামের গবেষক ইয়োসি মেকেলবার্গ বলেন, এটি একটি জটিল সামরিক অভিযান। তাই আপনি একজন দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রী চাইবেন। তবে সরকারে এমন কেউ নেই, যিনি নেতানিয়াহুকে বিশ্বাস করেন। এটিই বর্তমান মন্ত্রিসভায় বড় একটি বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ঘটনা থেকে এটা নিশ্চিত যে ইসরাইলের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সম্পর্কে ফাটল বাড়ছে। চলমান যুদ্ধের মধ্যে নিজের স্বার্থের চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ পরিচালনায় নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্র: আলজাজিরা






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply