গাজাবাসীর জন্য এফএম রেডিও পরিষেবা চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। আল জাজিরা আরবি নিউজ চ্যানেলের পক্ষ থেকে এই এফএম রেডিও পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যা ৯৩ দশমিক ৯ ফ্রিকোয়েন্সিতে শোনা যাবে।
আল জাজিরা আরবি নিউজ চ্যানেলের পক্ষ থেকে এই এফএম রেডিও পরিষেবা চালু করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আল জাজিরা আরবি নিউজ চ্যানেল বলেছে, উপত্যকার অধিবাসীরা নতুন ফ্রিকোয়েন্সিতে ২৪ ঘন্টা রেডিওতে খবর শুনতে পারবেন।
এদিকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ৪২তম দিনের মতো গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযানের পাশাপাশি বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। এদিন জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আবারও বিমান হামলা চালানো হয়। এ হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, বিমান হামলার পর অনেক মানুষ ভবনের নিচে চাপা পড়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা। শুধুমাত্র খালি হাত ব্যবহার করেই ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সেখানে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: গাজায় দিনে ২ ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি ইসরাইলের
এদিন বিমান হামলা চালানো হয়েছে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও। সেখানে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া খান ইউনিসের বনি সুহাইলায় একটি বাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ছোঁড়া বোমায় আরও চারজন নিহত হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এক ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ওয়াশিংটনের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল আবিব।’ তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি প্রবেশ করলে গাজায় বন্ধ হয়ে যাওয়া পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটারি ব্যবস্থার সমস্যা কিছু মাত্রায় হলেও লাঘব হবে।’
জ্বালানির অভাবে পরিবহন ব্যবস্থা আগেই ভেঙে পড়েছে। এরপর একে একে বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালগুলোও। এর ফলে নজিরবিহীন দুর্দশায় পড়েছে গাজাবাসী।
আরও পড়ুন: গাজায় হামাসের টানেলের সুড়ঙ্গ চিহ্নিত করার দাবি ইসরাইলের
চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ জানায়, জ্বালানির মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজায় তাদের ত্রাণ সহায়তার কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছিল।
তারই প্রেক্ষিতে জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলো। এছাড়া ইসরাইলি কর্মকর্তারা মনে করছেন, গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেয়ার কারণে চলমান সংঘাতের কারণে বিশ্বজুড়ে ইসরাইলের প্রতি যে বিরুপ মনোভাব তৈরি হয়েছে তা দূর হবে। যার ফলে উপত্যকাটিতে হামাস নির্মূলের অভিযান অব্যাহত রাখতে পারবে ইসরাইল।
No comments: