সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছেছে ইসরাইল-হামাস
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে প্রথমবারের মতো সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতার কাছাকাছি ইসরাইল-হামাস। কোলাজ ছবি
ইসরাইলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, হামাস যদি বন্দি ইসরাইলিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেবে দেশটির সরকার। এখন কেবল হামাসের জবাবের অপেক্ষা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘হামাস যদি ইতিবাচক সাড়া দেয়, সে ক্ষেত্রে সহজেই একটি সমঝোতা হতে পারে।’
অন্যদিকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর টানা গোলাবর্ষণ সত্ত্বেও বর্তমানে দুপক্ষ একটি সমঝোতা চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে বলে দাবি করেছেন হামাসের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
মঙ্গলবার কাতারে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হানিয়া বলেন, ‘আমরা একটি সমঝোতা চুক্তির কাছাকাছি রয়েছি। কাতারের মাধ্যমে আমরা এই চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছি এবং তাতে সম্মতিও দিয়েছি।’ পরে রয়টার্সকে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতেও একই কথা বলেছেন হামাসের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: গাজায় ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত, অর্ধেকের বেশি নারী-শিশু
এর আগে, একই দিন এমন ইঙ্গিত দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছিলেন, গাজায় ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জন কিরবি বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশা করছি এটি হবে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত বোমা হামলা চালায় হামাস। এতে ইসরাইলের ১২০০ মানুষ নিহত হয়। এছাড়াও দেশটির ২৪০ বাসিন্দাকে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। অন্যদিকে হামাসের এ হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অনবরত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘দ্বারপ্রান্তে’ হামাস-ইসরাইল: ওয়াশিংটন পোস্ট
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বোমা হামলায় গাজার ১৩ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশু। আর নারীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও চলমান এ সংঘাতে ৩০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
No comments: