Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » জি-সেভেনও চায় ‘মানবিক বিরতি’, অসহায়দের আর্তনাদ শুনবে কে?




ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ গাজায় যুদ্ধবিরতির কথা বললেও, ভিন্ন সুর ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মুখে। তারা চায় ‘মানবিক বিরতি’। এবার সেই সুরেই যেন সুর মেলালো বিশ্বের বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশের জোট জি-৭। প্রশ্ন হলো, মানবাধিকারের বয়ান দেয়া কথিত বিশ্ব মোড়লড়াই যদি যুদ্ধ বন্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে অসহায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা কোথায় যাবে? ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে’ ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে জি-৭। ছবি: সংগৃহীত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ইস্যুতে বুধবার (৮ নভেম্বর) জাপানের টোকিওতে বৈঠকে বসেছিলেন জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। অনেকে মনে করছিলেন, এই বৈঠক থেকে হয়তো অস্থায়ীভাবে হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হবে। তবে হয়েছে তার উল্টো। বৈঠক শেষে এক বিবৃতি জারি করে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ জি-সেভেনের দেশগুলো। এতে তারা গাজায় মানবিক বিরতি এবং করিডোরের পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিবৃতিতে ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে’ ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকেও স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গাজার অবনতিশীল মানবিক সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছি। আমরা জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা (গাজায়), বেসামরিকদের নিরাপত্তা এবং জিম্মিদের মুক্তির সুবিধার্থে মানবিক বিরতি এবং করিডোরকে সমর্থন করি। তবে এই বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়নি। আরও পড়ুন: ইসরাইলি দখলদারিত্ব নিয়ে কী বললেন ব্লিঙ্কেন উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির তুলনায় মানবিক বিরতি অল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সেই সময়কাল মাত্র কয়েক ঘন্টার। আবার মানবিক বিরতি সব যুদ্ধাঞ্চলের জন্যও প্রযোজ্য হয় না। বরং এটি নির্দিষ্ট সময়ে শুধুমাত্র কোনো নির্দিষ্ট জায়গার জন্যই কার্যকর হয়। সেই বিবেচনায় অনেক বিশ্লেষক বলছেন, ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের এই মানবিক বিরতির ডাক শুধুমাত্র বিদেশি বন্দিদের মুক্ত করা বা নিজেদের অন্যান্য স্বার্থেই। গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের রক্ষার বিষয়ে নয়, ‘আত্মরক্ষা অধিকারের’ নামে ইসরাইলকে খুশি করতেই ব্যস্ত তারা। কী বলছে যুক্তরাষ্ট্র জি-সেভেনের বিবৃতির পর টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল একমত যে, হামাসের বর্বরোচিত হামলার আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে আমরা সবাই যত দ্রুত সম্ভব সংঘাতের অবসান চাই এবং বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ কমাতে চাই। ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, যারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন তাদের বোঝা দরকার যে, এটি কীভাবে অগ্রহণযোগ্য ফলাফল বয়ে আনতে পারে। কারণ হামাস ২শ’র বেশি মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। এছাড়া যুদ্ধবিরতি দিলে তারা আবারও ৭ অক্টোবরের মতো বড় হামলা চালাতে পারে। এ ধরনের সংকট যেন আর কখনও না ঘটে, ‘টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তা’ স্থাপনই তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় বলে মনে করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মতবিরোধ? গাজা উপত্যকায় স্থল ও আকাশ পথে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল। তাদের হামলায় প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন। হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও। এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে গাজা উপত্যকায় নিরাপত্তার ‘নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব’ নেবে ইসরাইল। তবে ইসরাইলের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাষ্ট্র। আরও পড়ুন: ইসরাইলের ৩ শহরে আল-কুদস ব্রিগেডের হামলা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন টোকিওতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হলে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ নেয়া ইসরাইলের জন্য ‘ঠিক হবে না’। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, গাজা পুনর্গঠনের জন্য টেকসই প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা উচিত নয়। এখনও নয়, যুদ্ধের পরেও নয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ বা অন্যান্য সহিংস হামলার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গাজাকে ব্যবহার করা ঠিক নয়। একইসঙ্গে সংঘাত শেষ হওয়ার পর ইসরাইলি বাহিনীর জন্য গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়াও ঠিক নয়।’ এর আগে গত সোমবার (৬ নভেম্বর) এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমি মনে করি, ইসরাইল অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। কারণ আমরা দেখেছি সেখানে আমরা নিরাপত্তার দায়িত্বে না থাকলে কী হয়। এরপরই এ বিষয়ে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র। নেতানিয়াহুর মন্তব্যের পর মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরাইলের গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়া উচিত হবে না। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তারা গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব অনির্দিষ্টকালের জন্য নেয়ার যে কথা বলছে, সেটি উচিত বলে বিশ্বাস করে না যুক্তরাষ্ট্র।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply