Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মুবার ১: হামাসের যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলের মাথা ব্যথার কারণ




ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংঘাতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান অস্ত্র রকেট। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে হামলা শুরুর মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়েন হামাস যোদ্ধারা। ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট ছুটে আসায় ইসরাইলের ‘অভেদ্য’ বলে খ্যাত আয়রন ডোমও ঠিকমতো কাজ করেনি। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে হামলা শুরুর মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়েন হামাস যোদ্ধারা। ছবি: সংগৃহীত হামাসের হামলার পর চারদিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। যার ফলে গাজা শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তবে এর মধ্যেও হামাসের হামলা থামেনি। তারা রকেট ছোড়া অব্যাহত রেখেছে, সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়। তবে হামাসের নতুন একটি অস্ত্র ইসরাইলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। নতুন সেই অস্ত্রের নাম মুবার-১। এটা একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে ইসরাইলের অন্তত চারটি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে হামাস। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো হামাস দাবি করেছে, নতুন ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি তারা নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি মূলত একটি মিসাইল। মুবার-১ নামের এই মিসাইলটি আকাশে স্বল্প দূরত্বের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে। আরও পড়ুন: পশ্চিমা দ্বিচারিতা / ইউক্রেনীয়রা দেশপ্রেমী, তবে ফিলিস্তিনিরা কেন ‘সন্ত্রাসী’ ? হামাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মুবার-১ ব্যবহার করে তারা এরইমধ্যে ইসরাইলের চারটি অত্যাধুনিক এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, হামাসের নতুন প্রতিরোধ ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়ে ইসরাইলি বাহিনী তাদের কৌশল নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। সম্প্রতি মুবার-১ প্রতিরক্ষা মিসাইল নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। কীভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়—দেখানো হয়েছে ভিডিওতে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথম ধাপটি হলো, মিসাইল নিক্ষেপের বেস। দ্বিতীয় ধাপে সেখানে আড়াই ফুট দীর্ঘ পাইপ আকৃতির একটি মিসাইল স্থাপন করা হয়। তৃতীয় ধাপে নিরাপদ অবস্থান থেকে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে বের করে আঘাত করা হয়। প্রতিবার একটি করে মিসাইল নিক্ষেপের পর পরবর্তী অপারেশনের জন্য আরেকটি মিসাইল স্থাপন করতে হয়। পুরো ব্যবস্থাটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এটিকে সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। আর মিসাইলসহ ব্যবস্থাটি চারদিকে ঘুরে এবং ২০ থেকে ৭০ ডিগ্রি উপর-নিচ হয়ে নিশানা ঠিক করতে পারে। মিসাইলটি জ্বালানি ব্যবহার করে ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। আরও পড়ুন: হামাসের হামলায় ইসরাইলের তারকা ফুটবলার নিহত প্রতিটি ব্যবস্থায় চারজন সহযোগী নিযুক্ত থাকেন। এর মধ্যে দুজন মিসাইল বসানোর কাজ করেন, একজন কমান্ড দেন এবং অন্যজন এটির রাডার সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করেন। অনেকে মুবার-১ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ইরানি প্রযুক্তি দাবি করলেও হামাসের দাবি—ফিলিস্তিনের মাটিতে এটি তাদের আল-কাশেম ব্রিগেড তৈরি করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত ‘শয়তান পাইপ’ মিসাইলের আদলে এটিকে তৈরি করা হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply