Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » মাছ-মাংস কেনা বাদ বহু আগেই, এখন সবজিও নাগালের বাইরে!




টানা কয়েকদিন দাম বৃদ্ধির পর শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ছুটির দিনে এসে প্রায় প্রতিটি সবজির কেজি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা। এতে করে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে সবজির দাম। ক্রেতারা বলছেন, মাছ-মাংস কেনা বহু আগেই বাদ দিয়েছেন তারা। এবার সবজির বাজারেও আগুন। বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর দাম বৃদ্ধির পেছনে বিক্রেতারা দিলেন গত সপ্তাহে হওয়া বৃষ্টির অজুহাত। বাজারে সবজির যোগান বেশি থাকলেও দাম কমছে না বলে অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের। ছবি: সময় সংবাদ সরেজমিনে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, টমেটো ও গাজর। রাজধানীর উত্তর বাড্ডা বাজার ঘুরে দেখা যায়, জাত ভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা। যেখানে দুদিন আগেও বেগুনের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে বেগুনের দাম। আরও পড়ুন: অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস এর বাইরে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা। টমেটো কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা। এদিকে বেড়েছে বরবটি, করলা, কাকরোল, কচুর লতি, ঝিঙে ও পটলের দাম। এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। হালিপ্রতি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা কদিন আগেও ছিল ৪০ টাকা। মাঝে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৩০০ টাকা কেজি হলেও, আজকের বাজারে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে। কাঁচা মরিচের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের শাক প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়, যা কদিন আগেও ছিল ১০-১২ টাকা। বাজারে সবজির দাম নিয়ে কথা হয় ক্রেতাদের সঙ্গে। হাসিব নামে একজন ক্রেতা বলেন, বাজার বহু আগেই নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। যারা এখন মধ্যবিত্ত তাদের অবস্থাও শোচনীয়। আগে ৫০০ টাকার সবজি কিনলে দুই সপ্তাহ অনায়াসে কেটে যেত। এখন এককেজি সবজির দামই ১০০ টাকার ওপরে। এভাবে চলতে থাকলে বেঁচে থাকা কঠিন। শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ছবি: মহির মারুফ আরেক ক্রেতা মেহেদি বলেন, মাংস কেনা বাদ দিয়েছি দামের জন্য। মাছ কেনাও বাদ। এখন সবজির বাজারের এই দশা। মানুষের স্বস্তির একটা জায়গা অন্তত থাকা উচিত। ছুটির দিনে বাজার করতে এসে সবজির দাম শুনে অবাক হয়ে গেলাম। ভোক্তা অধিকার, অন্যান্য সংস্থার মনিটরিং কিন্তু এগুলোর সুফল বাজারে নেই কেন। বাজার নিয়ে আরেক ক্রেতা সালামত বলেন, দেশের যতই উন্নয়ন হোক না কেন, আগে বাজারের উন্নয়ন করতে হবে। সরকারের উচিত আগে বাজারের উন্নয়ন করা। দাম নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা। বাজারে কেন সবজির দাম এত চড়া জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা হাফিজ বলেন, টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আড়তের অনেক সবজি পচে গেছে। তাই দাম বেড়েছে। আর শীত আসতে আসতে সবজির দাম কমে যাবে। শীতের আগে সবজির দাম সবসময় একটু বাড়তিই থাকে। আরেক সবজি বিক্রেতা সালাউদ্দিন বলেন, বেশি দামে সবজি বিক্রি করলে বেশি লাভ হয় এমন না। দাম বাড়ায় সবজির বিক্রি কম। মানুষ আধাকেজি, আড়াইশো গ্রাম করে সবজি কিনছে। দিন শেষে অনেক সবজি বিক্রি না হওয়ায় পচে যাচ্ছে। আমরাও চাই বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসুক। এদিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা বেঁধে দিলেও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকায়। কারওয়ানবাজারেই হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা। বেশ কিছুদিন ধরে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে আলু-পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না দামে। আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে যা বললেন ডিবির হারুন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। কাঁচা মরিচ কারওয়ানবাজারে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও অন্যান্য বাজারে নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকার উপরে। এছাড়া মাছ, মুরগির দাম এখনো চড়া। ব্রয়লারের কেজি বাজার ভেদে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা। রুই-কাতলা মান ভেদে সাড়ে ৩০০, ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাজারে চাহিদা ও যোগানের ঘাটতি আছে। তাই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply