গাজায় ৬ হাজার বোমা ফেলেছে ইসরাইল!

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৬ হাজার বোমা ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এসব বোমার ওজন প্রায় ৪ হাজার টন। এতে দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন সাড়ে ৬ হাজারের বেশি লোক। গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলার পর ধোঁয়া উড়ছে। ছবি: এএফপি বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বোমা হামলায় শুধু বৃহস্পতিবারই অন্তত ২০০ লোক নিহত হয়েছেন। টানা এক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলি বিমান হামলা এবং অবরোধের মধ্যে থাকার পর গাজার মানবিক পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত এক হাজার ৫৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫০০ শিশু এবং ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন ছয় হাজার ৬১২ জন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার আশপাশের এলাকায় ২৩ লাখ লোকের বসবাস, যার মধ্যে শিশুই অর্ধেকের মতো। ইসরাইলি বাহিনীর অবিরাম বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এতে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল’ অন্যদিকে, গত শনিবার দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলা এবং কমপক্ষে ১০০ জনকে বন্দি করার পর থেকে কমপক্ষে এক হাজার ৩শ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গাজা সম্পূর্ণ অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইল। খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং জ্বালানির প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশে ইসরাইলের বাধা দেয়াকে মানবিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে জর্ডান। সেই সঙ্গে ইসরাইলি অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশটি বলছে, এটির সমাধান করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব। আরও পড়ুন: গাজায় শরণার্থী ক্যাম্পে বিমান হামলা, নিহত ৪৫ জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ইসরাইল পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে গাজায় ক্রসিংয়ে ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক ‘মানবিক মূল্যবোধ ও নীতির’ লঙ্ঘন।