গাজায় স্থল অভিযানে ইসরাইলের ‘ভয়’ যেখানে

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করার জন্য গাজায় স্থল অভিযান চালানো জন্য প্রস্তুত ইসরাইল। গাজা সীমান্তে ইসরাইলের ডিফেন্স ফোর্স-আইডিএফের তিন লাখ সংরক্ষিত সেনা সদস্যের পাশাপাশি ছোট ছোট শহর, মাঠ আর শস্যক্ষেত এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে ট্যাংক, গোলা বারুদ এবং ভারী অস্ত্র ও সেনা নেই। কিন্তু কেন এখনো গাজায় স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েও তা শুরু করছে না ইসরাইল? হামাসকে নির্মূল করার জন্য গাজায় স্থল অভিযান চালানো জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ইসরাইল। ছবি: সংগৃহীত চলতি মাসের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের রকেট হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত গাজা উপত্যকা। ইসরাইলি বাহিনীর একের পর এক বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। হাসপাতাল, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন, আশ্রয় কেন্দ্র এমন কোনও যায়গা নেই যেখানে বিমান হামলা চালায়নি ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রতিনিয়ত লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। চলমান এই সংঘাতের প্রথম সপ্তাহেই গাজায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল ইসরাইল। কিন্তু সেই ঘোষণার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত স্থল অভিযান শুরু করেনি ইসরাইলি সেনারা। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশ্লেষকরা। আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের এখনো স্থল অভিযান শুরু না করার পেছনের অন্যতম কারণ যুক্তরাষ্ট্র। গাজা থেকে ২০০৫ সালে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল ইসরাইল। এরপর থেকেই তারা গাজাকে সবদিক থেকে অবরুদ্ধ করে দেয়। কিন্তু এই সংঘাতের পর ইসরাইল যদি গাজা দখল করে তাহলে তা ‘বড় ভুল’ হবে বলে সম্প্রতি বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে, ইরানের একের পর এক হুমকি-ধমকি তো রয়েছেই। গত কয়েক দিনে ইরান স্পষ্ট বলে দিয়েছে গাজায় ইসরাইল যে ঘৃণ্য হামলা চালাচ্ছে তার যথাযথ উত্তর দেয়া হবে। এছাড়া গাজায় স্থল অভিযান হলে সরাসরি যুদ্ধে নামবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও। আরও পড়ুন: ইসরাইলের স্থল অভিযান নিয়ে ভীত নই, আমরা প্রস্তুত: হামাস তবে, ইসরাইল বাহিনীর জন্য যেটা সবচেয়ে আতঙ্কের তাহলো- হামাস। সংগঠনটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ইসরাইলি বাহিনীর জন্য যেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে হামাসের রহস্যময় সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক। এসব গোপন সুড়ঙ্গ দিয়েই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি অস্ত্র তৈরি থেকে শুরু করে মজুদ করে। এখন পর্যন্ত ইসরাইলমুখী বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গও তৈরি করেছে হামাস। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইল স্থলপথে গাজা আক্রমণ করলে এই সব টানেল ব্যবহার করে হামাস পাল্টা প্রতিরক্ষা তৈরি করতে পারে।