Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মৃত্যুপুরী গাজা, নিহতদের কবর দেয়ার জায়গা পাচ্ছে না বাসিন্দারা




দিন যতোই গড়াচ্ছে, ততোই বাড়ছে ইসরাইলি হামলা। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। কবরস্থানেও ফুরিয়েছে সমাহিতের জায়গা। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির পাশের সড়কেই স্বজনকে দিতে হচ্ছে কবর। খান ইউনিস শহরের মতো গাজার অনেক স্থানেই তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার হলেও একসাথে এতো মৃত্যু নিকট ইতিহাসে আর দেখেনি গাজাবাসী। ৩২০ বর্গকিলোমিটারের গাজায় বাসিন্দা ২৩ লাখ; ঘনবসতিপূর্ণ শহরটিতে তেলআবিবের হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। কবরস্থানগুলোতে দেখা দিয়েছে জায়গার সংকট। বাধ্য হয়ে বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার পাশে, যে যেখানে ফাঁকা জায়গা পাচ্ছেন, সেখানেই প্রিয়জনকে সমাহিত করছেন। রকেট হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ভবন। তাই বাবা-মা-স্ত্রী-সন্তানকে কবর দিতে অন্যের কাছে চাইছেন জমি। প্রিয়জন হারিয়ে শোকে কাতর মানুষগুলোর সামনে এ যেন এক নতুন সংকট। গাজার বাসিন্দা আদেল হাম্মাদ বলেন, প্রতি মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। খান ইউনিসের কোনো কবরস্থানেই জায়গা নেই। তাই যেখানেই জায়গা পাচ্ছি, কবর দিতে হচ্ছে। অনেককেই আবার পরিবারের সদস্যদের কবর দেয়ার জন্য অন্য কারও কাছ থেকে জমি চাইতে হচ্ছে। গাজার আরেক বাসিন্দা আব্দেল আজিজ আল ফাগাম বলেন, কোনো মুসলিম মারা গেলেই আমাদের হৃদয় কাঁদে। অথচ আমাদের জন্য কাঁদার কেউ নেই। মানুষের হৃদয় পাথর হয়ে গেছে, কারও কোনো অনুভূতিই নেই। ১৮ বছর ধরে অবরুদ্ধ আমরা। এই যে আমাদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে, তার জন্য কে দায়ী? একদিকে বিদ্যুতের অভাবে পুরো শহর অন্ধকারাচ্ছন্ন, অন্যদিকে ইসরায়েলের মুহুর্মূহু হামলা। এর মাঝে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহত রোগীদের ভিড়। সেখানেও মিলছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা। শঙ্কা, দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ না হলে সামনে আরও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে পড়বে গাজার বাসিন্দারা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply