Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ইসরাইলের কঠোর নজরদারিতেও কোন পথে হামাসের হাতে এত অস্ত্র?




গাজা উপত্যকার দুই পাশে ইসরাইল ও আরেক পাশে মিশর। বলা যায়, সব দিক থেকেই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটি। গাজার ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি পুরোপুরি বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। হামাসের সম্প্রতি প্রকাশিত এক ভিডিওতে এসব রকেট লঞ্চার দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত খাদ্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর জন্যই বাইররের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় তাদের। সাধারণ ফিলিস্তিনিদের চলাচলতো বটেই, সীমান্তে সব সময় কড়া নজরদারি ইসরাইলি সেনাদের। সমুদ্রে নৌ সেনা ও আকাশপথে বিমান দিয়ে প্রতিনিয়ত পাহারা দেয় তারা। কিন্তু এরপরও গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলে যেভাবে নজিরবিহীন হামলা চালানো হলো, তাতে হতবাক ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা ও পশ্চিমারা। এত কড়াকড়ির মধ্যে গাজায় অস্ত্র পৌঁছালো কীভাবে? এসব অস্ত্র সরবরাহ করলো কে? বিশ্লেষকরা এ নিয়ে বেশ কিছু ধারণা দিয়েছেন। হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছায় কীভাবে? গাজা উপত্যকার দুই দিকে ইসরােইলের সীমান্ত অন্যদিকে মিশরের সীমানা। গাজার পশ্চিম প্রান্ত মূলত ভূমধ্যসাগরের মুখোমুখি। আর এখানেই ইসরাইলি নৌবাহিনী ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মানুষের চলাচল সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। অস্ত্র সরবরাহকারীরা ভূমধ্যসাগরের তীরে অস্ত্র রেখে যায়। আর সেখান থেকেই ইসরাইলি নৌবাহিনীর সামুদ্রিক নজরদারি উপেক্ষা করেই অস্ত্র পৌঁছায় হামাসের কাছে। ভূমধ্যসাগর ছাড়াও আরও একটি গোপন পথে অস্ত্র হাতে পায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি। সেটি হলো বিকল্প পথ হিসেবে টানেল বা সুরঙ্গ ব্যবহারের মাধ্যমে। আরও পড়ুন: আল জাজিরার বিশ্লেষণ /হামাস এখন কেন হামলা চালালো? কথিত আছে, ইসরাইল ও মিশরের সীমান্ত দিয়ে অসংখ্য সুড়ঙ্গ রয়েছে যার অনেকগুলোই এখনো ইসরাইল সন্ধান পায়নি। বিশেষ করে গাজার সঙ্গে মিশরের সীমান্ত এলাকার একটি টানেল খুবই আলোচিত। মূলত গাজায় অস্ত্র সরবরাহের জন্যই টানেলটি তৈরি করা হয়। হামাসকে অস্ত্র দেয় কারা? ইরান হামাসের অন্যতম পরীক্ষিত ও দীর্ঘদিনের শুভাকাঙ্ক্ষী দেশ। হামাসসহ গাজায় বেশ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনকে আর্থিক সহায়তা দেয় তেহরান। গণমাধ্যম বলছে, আর্থিম সাহায্যের পাশাপাশি হামাস সেনাদের প্রশিক্ষণও দেয় ইরান। আর অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ ইরান অস্বীকার করলেও বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, বিভিন্ন সময় গাজা ও মিশর সীমান্তে থাকা সুড়ঙ্গ দিয়েই ইরান ও সিরিয়া থেকে ফজর-৩, ফজর-৫ এবং এম-৩০২ রকেটের মতো অস্ত্র হাতে পেয়েছে হামাস। ফজর সিরিজের রকেটগুলো ইরানের বানানো। অন্যদিকে M-302 রকেট বা খাইবার-১ও ইরানের বানানো। দূরপাল্লার আনগাইডেড রকেটটি লেবাননের হিজবুল্লাহ সরবরাহ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আরও পড়ুন: ইসরাইলের বিমান হামলায় ১৩ জিম্মি নিহত: হামাস মোটা দাগে হামাসে অস্ত্র পৌঁছানোর জন্য ইরানকেই দায়ী করছে পশ্চিমারা। ২০২১ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, হামাস ইরান থেকে প্রশিক্ষণ, অর্থ এবং অস্ত্র পায়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, হামাস বাইরে থেকে মোট যে অর্থ পায় তার ৭০ শতাংশই আসে ইরান থেকে। তালেবান কানেকশন বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বানানো অস্ত্র দিয়েই হামলা চালানো হচ্ছে দেশটির মিত্র ইসরাইলে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র হামাস পেলো কীভাবে? সেই প্রতিবেদন মতে, মূলত এসব অস্ত্র আফগানিস্তান থেকে এসেছে। অর্থাৎ আফগানিস্তানের তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র সরবরাহ করেছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর অসংখ্য গোলাবারুদ ও অস্ত্র দেশটিতে ফেলে যায়। এরপর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সেই অস্ত্রই হামাসের কাছে পৌঁছে দেয় তালেবান। পুনরায় প্রক্রিয়াকরণ ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) বাহিনী প্রায় দুই দশক ধরে হামাসের প্রকৌশলীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। আরও উন্নত অস্ত্র নির্মাণে হামাস প্রকৌশলীদেরকে নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দিচ্ছে তেহরান। বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাসের রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রকৌশলীরা ইরানের আঞ্চলিক নেটওয়ার্কের অংশ। বিশ্লেষকদের ধারণা, দেশীয় অস্ত্রের কাঁচামাল সরবরাহ করে তা নিজেরাই উৎপাদন করছে হামাস। এখানে আবার আরেকটি প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আরও পড়ুন: ইসরাইলের স্থল অভিযান নিয়ে ভীত নই, আমরা প্রস্তুত: হামাস গাজায় এমন কোনো ভারী শিল্প নেই যা দিয়ে অস্ত্র উৎপাদনে সহায়তা করতে পারে তাদের। গাজার প্রধান শিল্প টেক্সটাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং আসবাবপত্র। তবে এর প্রধান রফতানির মধ্যে রয়েছে স্ক্র্যাপ লোহা। গোপন সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক দিয়েই অস্ত্র তৈরির এই উপাদান সরবরাহ করা হয় বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। অনেক ক্ষেত্রে আবার বিভিন্ন সময়ে গাজায় ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ থেকে এই ধাতু পাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হয়। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর ধাতব স্তূপ, ধাতবের পাইপ, বৈদ্যুতিক তার দিয়ে রকেট টিউব বা অন্যান্য বিস্ফোরক ডিভাইস বানানো সম্ভব। আর এভাবেও হামাস তাদের অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে বলে মনে করেন অনেকে। সিএনএনের এক প্রতিবেদন বলছে, গাজায় ইসরাইলের ছোঁড়া অবিস্ফোরিত ডিভাইস ব্যবহারযোগ্য করে তোলে হামাস সদস্যরা। পরবর্তীতে বিস্ফোরক হিসেবে সেটি ইসরাইলের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply