Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » হাসপাতালে হামলার দায় এড়াতে ‘গল্প’ বদলেছে ইসরাইল




১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে গাজা উপত্যকার আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের বাইরে থেকে ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসার সময় বাঁশির মতো শব্দ করছিল। এরপরেই একটি বিস্ফোরণ ঘটে ও ব্যাপক আগুন দেখা যায়। ফিলিস্তিনি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বড় ধরনের হতাহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ছবি সংগৃহীত ওই হামলার ঘটনায় ইসরাইলকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তবে ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষের দাবি ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজি) এর জন্য দায়ী। আর এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন টুইটবার্তা, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা দেখতে পেয়েছে ইসরাইলের পক্ষ থেকে হামলার দায় এড়াতে বিভিন্ন সময় গল্প পরিবর্তন করা হয়েছে। ফ্যাক্ট চেক ভিডিওতে ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন বক্তব্য বিশ্লেষণ করেন আল জাজিরার সংবাদকর্মী খালিদ মাজজুব। তিনি বলেন, সেদিনের হামলার পর ওই ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবহারকারীরা ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার বর্ণনাও দেন। শতাধিক লোকের মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতেও দেখা যায় বিভিন্ন ভিডিওতে। আরও পড়ুন: মর্গে জায়গা নেই, আইসক্রিম ফ্রিজারে ফিলিস্তিনিদের লাশ! তিনি বলেন, হামলার পর রাত ৮টা ২৩ মিনিটের দিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা হানানইয়া নাফতালি এক টুইটবার্তায় হামলার বিষয়টি তুলে ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নাফতালি বলেন, ‘ইসরাইলি বিমান বাহিনী গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, যেখানে হামাস ঘাঁটি গড়েছিল। হামলায় বেশকিছু সন্ত্রাসী প্রাণ হারিয়েছে। এটি দুঃখজনক যে হামাস বিভিন্ন হাসপাতাল, মসজিদ ও স্কুল থেকে রকেট ছুড়ছে এবং সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।’ পোস্টে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখা হয় ‘হামাস ইজ আইসিস’ এর কিছু সময় পর ওই পোস্টটি ডিলিট করে দেয়া হয়। উল্টো ইসরাইলি সেনা বাহিনী হামলার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সিসিটিভি ফুটেজের ছবিসহ একটি টুইটবার্তা দেয়। এতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদকে (পিআইজি) ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। তবে তাদের দেয়া সিসিটিভি ফুটেজের সময় নিয়ে বিতর্ক ওঠে। পরে সেই ফুটেজের ছবিও সরিয়ে নেয়া হয়। ফিলিস্তিনি হাসপাতালে হামলার পেছনে কে দায়ী জানার চেষ্টা করেছে আল জাজিরা। ছবি সংগৃহীত অন্যদিকে আলজাজিরার সংবাদকর্মীর পরিচয়ে একটি টুইট অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরিত বিভিন্ন অংশের বরাত দিয়ে দাবি করা হয় সেটি হামাসের ছোড়া। তবে ওই অ্যাকাউন্টটি ফেক বলে শনাক্ত হয় এবং এরপরেই সেটি ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায়। এছাড়া ঘটনার অন্য একটি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বলা হয় একটি ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভূমিতে দুটি বিস্ফোরণের জন্ম দেয়। এর একটি ছোট বিস্ফোরণ ছিল। অন্যটি আল-আহলি হাসপাতালের পাশে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণেই হাসপাতালে শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন: শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলা, ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত এ ঘটনায় আসলে কে দায়ী সে বিষয়ে আল জাজিরার ডিজিটাল টিম ও বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন বলে ভিডিওতে জানান খালিদ মাজজুব। এছাড়া বিভিন্ন স্বাধীন সংস্থা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রকৃত ঘটনা জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেয়ার দাবি জানান তিনি। যদিও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এর কোনো অনুমতি এখনও দেয়নি। ফ্যাক্ট চেক ভিডিওটির শেষদিকে খালিদ মাজজুব বলেন, ঘটনার জন্য পরস্পর দোষারোপ চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। আর এসবের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে ধারণা ও গল্প, যদিও তা শতভাগ সঠিক নয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply