ইরান ও তার মিত্রদের কড়া হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

ইসরাইল-হামাস সংঘাত ইরান ও তার মিত্রদের কড়া হুঁশিয়া

রি যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধে ইরান ও তাদের মিত্রদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের রকেট প্রতিহত করে পাল্টা হামলা চালাতে ইসরাইলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ ও ‘প্যাট্রিয়ট’ পাঠানোর নিশ্চয়তা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। স্থল আক্রমণের আগে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত রোববার (২২ অক্টোবর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সিবিএস নিউজকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে, ইরানের মদদপুষ্টরা আমাদের কর্মীদের, আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়াচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা এই আক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কেউ ইসরাইলের ওপর বা আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানো উচিত নয়। ইসরাইল-হামাসের চলমান সংঘাতের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। আরও পড়ুন: ইসরাইলে এবার ‘থাড’ ও ‘প্যাট্রিয়ট’ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল-হামাস সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের ওপর হামলা বৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এর আগে ইসরাইলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ ও ‘প্যাট্রিয়ট’ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। এমনকি ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা তিন হাজারের বেশি সেনাকে গোপনে ইসরাইলে পাঠাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। এছাড়া ইসরাইলকে সামরিক সহায়তায় ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলের কাছাকাছি অবস্থান করছে মার্কিন বিমানবাহিনীর রণতরী। এদিকে ইরান সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা শুরু করলে ইসরাইলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যে হামাস-ইসরাইল ‘যুদ্ধের কেন্দ্রে’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আরও পড়ুন: মিশরের নিরাপত্তা চৌকিতে ইসরাইলের হামলা অন্যদিকে তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, গাজায় আমরা যা দেখছি, সেটি ভুয়া ইসরাইলি শাসকদের শুরু করা প্রক্সি যুদ্ধ, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছে।' এ যুদ্ধ নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জাতি ও বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, যুদ্ধের মধ্যে বাইডেনের ইসরাইল সফর এবং হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণে ইসরাইলকে সহায়তা দেয়ার ব্যাপারটা অত্যন্ত 'তিক্ত ও দুর্ভাগ্যজনক।’