বন্দিবিনিময় চুক্তি দেশে পৌঁছালেন ৫ মার্কিন নাগরিক, বাইডেনের সমালোচনায় ট্রাম্প

কাতারের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তি পাওয়া পাঁচ মার্কিন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। তবে, মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে ইরানের জব্দ থাকা ৬০০ কোটি ডলার ফেরত দেয়ার চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কাতারের দোহা হয়ে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান পাঁচ মার্কিন নাগরিক। অবতরণের পর বিমান থেকে নেমে স্বজনদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সদ্য মুক্তি পাওয়া মার্কিন নাগরিকরা। ছবি: সংগৃহীত ইরান থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কাতারের দোহা হয়ে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান পাঁচ মার্কিন নাগরিক। অবতরণের পর বিমান থেকে নেমে স্বজনদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সদ্য মুক্তি পাওয়া মার্কিন নাগরিকরা। ছবি: সংগৃহীত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইরান থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কাতারের দোহা হয়ে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান পাঁচ মার্কিন নাগরিক। অবতরণের পর বিমান থেকে নেমে স্বজনদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সদ্য মুক্তি পাওয়া মার্কিন নাগরিকরা। বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, এর মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে। দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাও বাড়বে। এরইমধ্যে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আরও পড়ুন: বন্দিবিনিময় চুক্তি /মার্কিন ৫ নাগরিককে ছেড়ে ৬০০ কোটি ডলার পেল ইরান তবে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বন্দিবিনিময় নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের তুমুল সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে ইরানকে ৬০০ কোটি ডলার দেয়ার চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। আমি ক্ষমতায় থাকাকালে উত্তর কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বন্দি বিনিময় করলেও, কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয়নি। ইরানের সঙ্গে এমন চুক্তিকে বাইডেনের ব্যর্থতা হিসেবেও উল্লেখ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতারের মধ্যস্থতায় এই বন্দিবিনিময় চুক্তি ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা কমিয়েছে। তবে এ চুক্তি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্রোহীদের মদদ বা উপসাগরীয় দেশগুলোতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ও নিষেধাজ্ঞার মতো অন্যান্য ইস্যু সমাধানে দীর্ঘদিনের দুই শত্রু দেশকে আগ্রহী করে তুলবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।