Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরে মানব পাচার মামলার প্রথম রায়




আদম ব্যবসায়ী মাসুদ কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। লিবিয়ার মানব পাচারের দায়ে মাসুদ রানা নামের এক আদম ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ তহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। তবে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে রয়েছে দণ্ডিত মাসুদ রানা। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৪ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দ্ইু বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মেহেরপুর জেলায় মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের এটি প্রথম রায়। যা বিদেশে টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে মানব পাচার প্রতিরোধে কার্যকরী ভুমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠ আইনজীবি ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। দণ্ডিত মাসুদ রানা যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী নতুন বাজারের নজরুল ইসলামের ছেলে। আদালত সুত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের আকবর আলী মীরের ছেলে সইবুর রহমানকে লিবিয়ায় ভাল বেতনে কাজের লোভ দেখায় দণ্ডিত মাসুদ রানাসহ তার সঙ্গীয় কয়েকজন কথিত দালাল। ছেলে ও পরিবারের উন্নত ভবিষ্যত চিন্তা করে নজরুল ইসলাম ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দেয় মাসুদ রানাকে। ২০১৪ সালের ১ জুলাই সইবুরকে তার বাড়ি থেকে লিবিয়ায় পাঠানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যায় মাসুদ রানা। এর পর থেকেই ছেলের সাথে আর কোন যোগাযোগ করতে পারেনি আকবর আলী মীর। নানাভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এবং মাসুদ রানার কাছ থেকে কোন সদুত্তোর না পেয়ে ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা আর্জি করেন আকবর আলী। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মুজিবনগর থানাকে মামলা দায়ের পূর্বক তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। জানা গেছে, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে মাসুদ রানার মানব পাচার চক্রের সম্পৃক্ততা। লিবিয়ার পাচারের কিছুদিন পর সইবুর মারা যায়। অবৈধভাবে লিবিয়ায় পাঠানোর কারণে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হয়না। বিজ্ঞ আদালতে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে মাসুদ রানা দোষী হিসেবে সাব্যস্ত হয়। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬(২) ধারার অপরাধে মাসুদ রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সাথে ১৪ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। আত্মগোপনে থাকা আসামি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বের গ্রেফতারী পরোয়ানা অনুযায়ী গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দের জন্যও আদেশ হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌশুলী ছিলেন এডভোকেট আসাদুজ্জামান । এই রায়ে বাদী আকবর আলী সন্তোষ প্রকাশ করেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply