পাকিস্তানে তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন: তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কথা বলেন তিনি। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। ছবি: সংগৃহীত
এদিন ( ৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন আনোয়ারুল হক কাকার। এ সময় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে তিনি ‘নিশ্চিত’।
আনোয়ারুল হক বলেন, বিদ্যমান আইনি ব্যবস্থা অনুযায়ী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। তার কথায়, ‘আমি মনে করি, কয়েক মাসের মধ্যে..এই কয়েক মাস হতে পারে তিন বা সাড়ে তিন বা চার মাস...এমনটাই লাগবে...এই সময়ের মধ্যে আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ঢুকে যাব।’
চার মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র আশাবাদীই নই, আমি নিশ্চিত।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি /সহিংস বিক্ষোভের পথে পাকিস্তান!
এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, সীমিত সময়ের বিষয়টি বিবেচনা করে তার সরকার একটি ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় নির্দিষ্ট কিছু নীতি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎ সরকার দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নির্বাচনে উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবেন। তবে প্রেসিডেন্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে সিনেট চেয়ারম্যান ওই পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’
গত ৯ আগস্ট পাকিস্তানে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এরপর ক্ষমতায় আসে তত্বাবধায়ক সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আনোয়ারুল হক কাকার।
পাকিস্তানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে আগামী নভেম্বর শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন হওয়ার কথা। ডন বলছে, গত সপ্তাহে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ জানাতে কমিশনকে চিঠি পাঠান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের তারিখ জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৯
তবে সুনিদির্ষ্ট তারিখ না জানানোয় নির্বাচন আরও পেছানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে রাজনৈতিক দলগুলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধিরও শঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন আশঙ্কার মধ্যে গত সপ্তাহে (৩০ আগস্ট) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) জানায়, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন চলতি বছর হচ্ছে না। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে নির্বাচন হতে পারে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মতে, আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
Tag: English News lid news others world
No comments: