Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » পাকিস্তানকে ২২৮ রানে উড়িয়ে দিল ভারত, এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জয় দিয়ে শুরু বিরাটদের




পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের লড়াইয়ে থাকল ভারত। সুপার ফোরের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে রোহিত শর্মারা তুললেন ২ উইকেটে ৩৫৬ রান। অপরাজিত শতরান এল বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে। জবাবে ৩২ ওভারে বাবর আজ়মদের ইনিংস শেষ হল ১২৮ রানে। চোটের জন্য ব্যাট করতে নামেননি পাকিস্তানের শেষ দুই ব্যাটার। রেকর্ড ২২৮ রানে জয় পেল ভারত। বল হাতে পাক ইনিংসে ধস নামালেন কুলদীপ যাদব।

রবিবার ভারতীয় ইনিংসের ২৪.১ ওভারের পর আর খেলা সম্ভব হয়নি বৃষ্টির জন্য। তার পর থেকে খেলা শুরু হয় সোমবার। এ দিনও বৃষ্টির জন্য নির্ধারিত দুপুর ৩টের সময় শুরু করা যায়নি খেলা। খেলা শুরু হয় বিকাল ৪.৪০ মিনিটে। স্যাঁতস্যাঁতে উইকেটে সাবধানে শুরু করেছিলেন কোহলি এবং রাহুল। অন্য দিকে কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিলেন পাকিস্তানের বোলারেরা। এ দিন ম্যাচ শুরুর আগেই জানা যায়, চোটের জন্য খেলতে পারবেন না হ্যারিস রউফ। এক জন গুরুত্বপূর্ণ বোলার কমে যাওয়ায় পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হয় পাক অধিনায়ককে। শাহিন আফ্রিদি, শাদাব খানদের রক্ষণাত্মক বোলিংয়ের সুযোগ কাজে লাগালেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। দিনের চতুর্থ ওভার থেকে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন কোহলি এবং রাহুল। তাঁদের আগ্রাসনের মুখে লাইন, লেংথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি পাকিস্তানের বোলারেরা। দুই ব্যাটারকে আউট করার মতো বলও করতে পারেননি তাঁরা। স্বভাবতই সাবলীল ভাবে খেললেন তাঁরা। কোহলি খেললেন অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস। মারলেন ৯টি চার এবং ৩টি ছয়। রাহুল শেষ পর্যন্ত করলেন ১১১ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১২টি চার এবং ২টি ছয়। তৃতীয় উইকেটে তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠল ২৩৩ রান। যা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ। ভারতের ৩৫৬ রানও এক দিনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ। আবার এ দিনই এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসাবে ১৩ হাজার রান পূর্ণ করলেন কোহলি। সোমবার পাকিস্তানের বোলারেরা একটিও উইকেট পেলেন না। ৩৫৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম উল হক (৯) এবং অধিনায়ক বাবর (১০) দলকে ভরসা দিতে পারেননি। তাঁদের আউট করেন যশপ্রীত বুমরা এবং হার্দিক পাণ্ড্য। বাবর আউট হওয়ার পরেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ রাখতে হয়। সে সময় পাকিস্তানের রান ছিল ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৪৪ রান। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে প্রথম ওভারেই শার্দূল ঠাকুর আউট করেন মহম্মদ রিজ়ওয়ানকে (২)। পাকিস্তান ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ভারতের জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। মেঘলা, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া কাজে লাগিয়ে ভারতের জোরে বোলারেরা ধারাবাহিক ভাবে অস্বস্তিতে রাখলেন পাক ব্যাটারদের। শুধু তাই নয়। কুলদীপ, রবীন্দ্র জাডেজার স্পিন বল খেলতেও সমস্যা পড়লেন পাক ব্যাটারেরা। ফখর জামান (২৭) এবং আঘা সলমনকে (২৩) সাজঘরে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করে দেন কুলদীপ। তাঁর বল ঠাওর-ই করতে পারছিলেন না পাক ক্রিকেটারেরা। দলের ইনিংসকে ভরসা দিতে পারলেন না সহ-অধিনায়ক শাদাব খানও (৬)। তাঁকেও আউট করলেন কুলদীপ। ফেরালেন ইফতিকার আহমেদকেও (২৩)। ফাহিম আশরাফও (৪) আউট হলেন বাঁহাতি স্পিনারের বলে। ২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন তিনি






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply