অবশেষে ভারত ছাড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
জি-২০ সম্মেলন শেষ হলেও বিমানে ত্রুটি দেখা দেয়ায় দিল্লিতে আটকে পড়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অবশেষে তার বিমানটি ঠিক হয়েছে। ফলে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষার পর দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন তিনি।
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় দিল্লিতে আটকে পড়েন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর সদলবলে নয়াদিল্লি পৌঁছান ট্রুডো। দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয় রোববার (১০ সেপ্টেম্বর)। এরপর সম্মেলনে যোগ দেয়া বিভিন্ন দেশের নেতারা একে একে দিল্লি ছাড়েন। তবে আটকা পড়েন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। কারণ তাদের বহনকারী বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
খবরে বলা হয়, রোববার বিকেলে বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ার পর হোটেলে ফিরতে হয় ট্রুডোকে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ট্রুডোর বিশেষ বিমানে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে কানাডা থেকে একটি বিকল্প বিমান ভারতে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্লুমবার্গকে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রুডোকে হয় ব্যাকআপ প্লেনে দেশে ফিরতে হবে, নয়তো মূল বিমানটি (যে বিমানে ভারতে গিয়েছিলেন) মেরামত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ তবে বিমানটিতে ঠিক কী ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনের খরচ নিয়ে বিতর্কে মোদি সরকার
এরপর বিকল্প প্লেনের অপেক্ষায় ছিলেন ট্রুডো। তবে দ্বিতীয় একটি বিমান সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিল্লি আসার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত আসেনি। ফলে অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হয়। সৌভাগ্যক্রমে এরই মধ্যে প্রথম বিমানটি ঠিক হয়ে যায়।
এরপরই দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন ট্রুডো। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বিমানের প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এটি এখন ওড়ার জন্য প্রস্তুত।’
এনডিটিভির প্রতিবেদন মতে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য ট্রুডোকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সরকারি সহকর্মীদের পক্ষ থেকে আজ (মঙ্গলবার) বিমানবন্দরে ছিলাম আমি। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছি। তারা যেন নিরাপদে দেশে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য শুভেচ্ছা জানাই।’
আরও পড়ুন: বিজেপিকে রাহুলের তোপ /দেশের আত্মাকে আক্রমণ করলে মূল্য চোকাতে হবে
এদিকে ট্রুডো শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরলেও তার যাত্রা বিলম্বের ঘটনায় কানাডায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এ ঘটনা দেশটির রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর বিপর্যস্ত অবস্থা সম্পর্কিত বিতর্ককে নতুন করে সামনে এনেছে।
জানা গেছে, ট্রুডো ও অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বহনকারী এয়ারবাস এ৩১০এস মডেলের বিমানটি ১৯৮০-এর দশকের। বিমানটি এতই পুরনো যে, ট্রুডোকে নিয়ে এশিয়া ভ্রমণের সময় এটির রিফুয়েলিং স্টপের প্রয়োজন হয়। এছাড়া চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে বিমানটির প্রায়শই আলাস্কা ও জাপানে যাত্রাবিরতি (স্টপওভার) থাকে।
Tag: English News lid news others world
No comments: