পিছিয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের নির্বাচন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। ছবি: জিও নিউজ
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, এ বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দেশে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হওয়ায় ভোট পিছিয়ে আগামী বছরের মার্চে হতে পারে। এছাড়া পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) নির্বাচনী এলাকার নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।
সোমবার পাকিস্তানের জিও নিউজ টিভির এক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আদমশুমারি সম্পন্ন এবং নতুন নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা হলে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভোট হবে। খবর জিও নিউজের
সানাউল্লাহ বলেন, 'আমার মতে, নতুন সীমানা নির্ধারণ করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সংবিধান অনুযায়ী একটি আদমশুমারির ভিত্তিতে দুটি সাধারণ নির্বাচন হতে পারে না। সেজন্য সংবিধান মেনে নতুন নির্বাচনী সীমানা নিধারণ এবং শুমারি প্রয়োজন।'
আগামী ১২ অগাস্ট শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে এবং নতুন সরকার গঠনের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে; এমনটাই হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।
তোশাখানা মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত শনিবার ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। রায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই লাহোর থেকে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। সাজা পাওয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পেছনে তাদের হাত নেই জানিয়ে শাহবাজ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাংবিধানিক প্রয়োজনেই সর্বশেষ আদমশুমারির অধীনে নির্বাচন হওয়া জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ আগামী ৯ আগস্ট, অর্থাৎ তার সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগে বর্তমান পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
No comments: