দিল্লির স্কুলে এবার পবিত্র কাবা ও কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ
দিল্লির স্কুলে এবার পবিত্র কাবা ও কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ
ভারতের দিল্লির একটি স্কুলের শিক্ষিকা পবিত্র কাবা ও কোরআন শরীফ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের চার মুসলিম শিক্ষার্থী। এমনকি, দেশভাগের সময় তাদের পরিবার কেন পাকিস্তানে চলে যায়নি, তা-ও জানতে চাওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীদের কাছে।
গাড়ি নিয়ে সড়কে টহল দিচ্ছে দিল্লি পুলিশের সদস্যরা। (ফাইল ছবি)
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের একটি স্কুলে ছাত্রদের তাদের শিক্ষকের আদেশে এক মুসলিম সহপাঠীকে চড় মারার ঘটনা নিয়ে পুরো দেশ যখন উত্তাল; তখন দিল্লিতেও প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল। মুজাফফরনগরের ঘটনার ভিডিওতে অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগীকেও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল।
এদিকে, দিল্লির গান্ধীনগরের ‘সরকারি সর্বোদয় বাল বিদ্যালয়ের’ ঘটনায় শিক্ষিকা হেমা গুলাটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিদ্যালয়টির নবম শ্রেণির ছাত্রদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রের অভিযোগ অনুযায়ী, গত বুধবার (২৩ আগস্ট) তার স্কুলের শিক্ষিকা হেমা গুলাটি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেন। তিনি মক্কার পবিত্র কাবা শরিফ এবং কোরআন মজিদ সম্পর্কেও অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, বলা হয়েছে অভিযোগে।
গত ২৫ আগস্ট দায়ের করা অভিযোগের অনুলিপি অনুসারে মুসলিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ওই শিক্ষিকা বলেন,
দেশভাগের সময় তোমরা (শিক্ষার্থীদের পরিবার) পাকিস্তানে যাওনি। তোমরা ভারতে থেকে গেছো। ভারতের স্বাধীনতায় তোমাদের কোনো অবদান নেই।
একজন শিক্ষিকার এ ধরনের মন্তব্য স্কুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবার। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার দাবিও তুলেছেন তারা।
এদিকে, স্থানীয় বিধায়ক এবং আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অনিল কুমার বাজপেই এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা একেবারেই ভুল। একজন শিক্ষকের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা দেয়া। কোনো ধর্মীয় বা পবিত্র স্থানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করা তাদের উচিত নয়। এ ধরনের মানুষদের বিচার হওয়া উচিত।’
No comments: