Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন কানুন ও বিধিবিধান মানতে হবে : মোস্তাফা জব্বার




ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সোমবার ঢাকায় ডাকভবনে মন্ত্রীর দপ্তরে ফেসবুকের সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক শারিম আজিজ এবং বাংলাদেশবিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রেজান সারোয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি : পিআইডি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফেসবুককে বাংলাদেশের আইনকানুন ও বিধিবিধান মানতে হবে। একে কারও অপকর্মের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া যায় না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সোমবার (২৮ আগস্ট) ঢাকায় ডাকভবনে মন্ত্রীর দপ্তরে ফেসবুকের সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক শারিম আজিজ এবং বাংলাদেশবিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রেজান সারোয়ার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোসহ এটির অপব্যবহারে সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রই কেবল নয়, এটি ফেসবুকের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেউ ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে যাতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে সে বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুক অ্যাকাউন্টের জন্য ব্যক্তির সঠিক পরিচয় যাচাইয়ের বিষয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ফেসবুককে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’ ‘বাংলাদেশ ফেসবুকের একটি বড় বাজার’ উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের মেয়েরাও উদ্যোক্তা হয়ে ক্ষমতায়িত হতে পারে। কিন্তু তার জন্য আমরা দেশ রাষ্ট্র ও জনগণকে অনিরাপদ হতে দিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের দুর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ডিজিটাল সংযুক্তি পৌঁছানো হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার এই উদ্ভাবক ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ছাড়াও গুজব, অপপ্রচার, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহীতা, পর্নোগ্রাফি, জুয়া ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী কনটেন্ট বন্ধ করতে হবে।’ ২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত সাড়ে পাঁচ বছরে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই ফেসবুক আমাদের রিপোর্ট করা সব কনটেন্ট অপসারণ করুক। ফেসবুকের ভুয়া আইডি ব্যবহার করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি এক শ্রেণির প্রতারকের মাধ্যমে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। প্রকৃত পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব।’ ফেসবুক প্রতিনিধিদল বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেন। তারা আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিংয়ের মাধ্যমেও গুজব ও অপপ্রচার সংক্রান্ত কনটেন্ট অপসারণ করা সম্ভব বলে জানান। তারা স্বীকার করেন যে, অন্যান্য দেশের পলিসি, আইন আর বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। তাই আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছি। যেকোনো বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখা উচিত। আমাদের পলিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে সরকার থেকেও বারবার বলা হয়েছে, আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থাও নিয়েছি। ভবিষ্যতেও ফেসবুক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply